বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গভীর নিম্নচাপটি শনিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেছিলেন, শনিবার দুপুর নাগাদ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে তার নাম হবে ‘রেমাল’। এবারের নামটি দিয়েছে ওমান। এর অর্থ ‘বালু’।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা রবিবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের দ্বীপ ‘সাগর’ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ায় আঘাত হানতে পারে।