Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

বাঘাইছড়ির ৩ গ্রাম প্লাবিত

রাঙামাটির কাঁচালং নদীর পানি পাহাড়ি ঢলে বেড়ে যায়। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
রাঙামাটির কাঁচালং নদীর পানি পাহাড়ি ঢলে বেড়ে যায়। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কমপক্ষে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। উপজেলার কয়েকটি স্থানে ছোট-বড় পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

রেমাল পার্বত্য উপজেলাটিকে এসব ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীণ আক্তার। 

রবিবার রাতে রেমাল মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হানে।

ওই রাতে খেপুপাড়া অতিক্রম করার সময় ঘূর্ণিবায়ুর গতি ছিল সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রেমালের অগ্রভাগ রবিবার দুপুরে উপকূলে আসে। মধ্যরাতে এর কেন্দ্র স্থলভাগের উপরে উঠে আসে। এরপর ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা ধরে পুরো ঝড়টি উপরে উঠে আসে। এসময় রাতভর চলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব।

সোমবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় রেমাল।

ঝড়ের তাণ্ডবে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-বাঘাইহাট সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। ছবি: সকাল সন্ধ্যা

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে কাঁচালং নদীর পানি বাড়ে। এতে উপজেলার মধ্যমপাড়া, মাস্টারপাড়া ও লাইল্যাঘোনার প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

এছাড়া মারিশ্যা-বাঘাইহাট সড়কের ৪ কিলো, ৮ কিলো, ১২ কিলো এলাকায় গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গাছ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালী এলাকায় পাহাড়ি ঢলে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ সেবার বিঘ্ন ঘটে। জেলা শহরে মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংযোগ ফের চালু হয়। 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার জানান, “মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকমতো পাচ্ছি না। এ কারণে সার্বিক পরিস্থিতির খবর পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। 

“পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি এখন কমেছে। বৃষ্টি যদি বাড়ে, তাহলে আরও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।”  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত