Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

ডিআরইউতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুক্তপ্রকাশ নামের সংগঠনটি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ডিআরইউতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুক্তপ্রকাশ নামের সংগঠনটি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-কে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মুক্তপ্রকাশ নামের একটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লেখক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, “বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকার ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে গণদাবির প্রেক্ষাপটে নিপীড়নমূলক এবং নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ রহিত করেছিল।

“নাগরিকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত আলোচনা ব্যতীত, তাড়াহুড়ো ও গণদাবি উপেক্ষা করে, বাতিলকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রায় একই আদলে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ নামে নতুন আরেকটি গণবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিল এবং আইনটি নিপীড়নমূলক চর্চা বজায় রেখে তা এখনও কার্যকর রয়েছে।”

আইনটি সংশোধন নয় বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ এবং বেআইনি। নাগরিকদের অংশগ্রহণবিহীন এই আইনটি প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং দ্রুত খসড়াটি আইনে পরিণত করা হয়েছিল। সাইবার পরিসরে আইনের ব্যবহারটাই ছিল অপব্যবহার।”

সাইবার নিরাপত্তা আইন জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে অধ্যাদেশ জারি করে আইনটি বাতিল এবং এরকম মামলায় যারা কারাগারে আছেন তাদের মুক্তির দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউর রহমান লেনিন সাংবাদিকদের বলেন, “বিগত সরকারের আমলে আমরা তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। এই সরকারকেও আমরা পর্যবেক্ষণ করব, তারা যেন কোনও প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন না করতে পারে।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের আহম্মদ উল্লাহ, গণমাধ্যম অধিকার কর্মী মাইনুল ইসলাম খান, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী শারমিন খান ও উন্নয়নকর্মী শামীম আরা শিউলী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত