Beta
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

‘কোথাও কেউ নেই’, ডেঙ্গু ঠেকাবে কে

Dengue-Mugda-Hospital
[publishpress_authors_box]

ডেঙ্গুতে বিশ্বে গত বছর ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ১ হাজার ৭০৫ জনই ছিল বাংলাদেশের। এ হিসাবে বিশ্বে প্রাণ হারানোদের প্রায় এক তৃতীয়াংশই ছিল বাংলাদেশের নাগরিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মশাবাহিত এ রোগে এ বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।

এদিকে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে রোগী বাড়লেও ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চোখে পড়েনি তেমন। ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার প্রজনন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আরও কয়েকদিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু বর্ষা মৌসুমের হলেও এখন এটা সারা বছরের রোগ। গত ২৩ বছরের মধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়েছিল বর্ষা মৌসুম দেরিতে আসায়। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর যে তাণ্ডব হয়, তাতেও অসময়ে বর্ষার প্রভাব ছিল। এবারও আবহাওয়া বিরূপ। এখনই ডেঙ্গুবিরোধী যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই অক্টোবরেও ‘আরও বড় বিপদ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনেই জুলাইয়ের ৩১ ‍দিনের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে; মারাও গেছে বেশি। এ সময়ে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৮ জন; মারা গেছে ১৯ জন। ডেঙ্গু নিয়ে জুলাই মাসে হাসপাতলে ভর্তি হয় ২ হাজার ৬৬৯ জন; মারা যায় ১২ জন। গত মাস, আগস্টে ভর্তি হয় ৬ হাজার ৫২১ জন; মারা যায় ২৭ জন।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

নতুন সরকারের একমাস পার হলেও হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসকদের বদলিসহ নানা ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোনও সিটি কর্পোরেশনে নেই মেয়র, বসানো হয়েছে প্রশাসক। পদ থাকলেও প্রকাশ্যে নেই কাউন্সিলররা, যারা মূলত সিটি করপোরেশনের কাজগুলো সারতেন।

পরিস্থিতি ‘যখন কোথাও কেউ নেই’, তখন জনস্বাস্থ্যের অন্যতম এই আতঙ্ক ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে হু হু করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত ডেঙ্গুর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য খাতের ‘অচলাবস্থা’ না কাটলে গভীর স্বাস্থ্যসঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে দেশ।

বাড়ছে রোগী

দেশে প্রথম ২০০০ সালে সরকারের নজরে আসে ডেঙ্গু। এরপর প্রতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকলে ২০২০ সাল ছিল ব্যতিক্রম। সে বছরে করোনা মহামারি দেখা দেয়। রোগতত্ত্ববিদরা সেসময় বলেছিলেন, একইসঙ্গে দুটো ভাইরাসের আক্রমণ হয় না। তবে করোনার আতঙ্ক কাটতেই চোখ রাঙানো শুরু করে ডেঙ্গু।

ডেঙ্গু কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা ২০২৩ সালে দেখেছে বাংলাদেশ। এ বছরে ৩ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়, তার আগে ২২ বছর মিলিয়েও এত রোগী পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল উদ্বেগজনক। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ৮৪৯ জনের। ২০২৩ সালে মৃত্যুর এ সংখ্যা হয়ে যায় দ্বিগুণ।

সরকারি হিসাবে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। শতাংশের হিসেবে আক্রান্তদের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫৩ জন মারা যায়।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে রোগী ভর্তি হয় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মৃত্যু হয় ২০৪ জনের। আগস্টে রোগী ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মৃত্যু হয় ৩৪২ জনের। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোগী ছিল ২৪ হাজার ৫২০ জন, মৃত্যু হয় ১৩৭ জনের। পুরো সেপ্টেম্বরে রোগী ভর্তি হয় ৭৯ হাজার ৪৯৮ জন, মৃত্যু হয় ৩৯৬ জনের।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুর বিস্তার সবচেয়ে বেশি হয় জানিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সে বছরে কেবল সরকারি হিসাবেই অক্টোবরে ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগীর কথা জানতে পারি। বর্ষা মৌসুম দেরিতে আসার কারণে ডেঙ্গুর বিস্তারটাও হয় সেসময়। আর পরের বছরে যে ডেঙ্গুর তাণ্ডব হলো, তাতেও কিন্তু এই অসময়ের প্রভাব রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আবহাওয়া অধিদপ্তর কিন্তু ইতোমধ্যেই বৃষ্টি বাড়ার আভাস দিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি যদি এবাবে বাড়তে থাকে, তাহলে অক্টোবর মাসে আমাদের জন্য আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরর হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। গোটা বিশ্বে এ হার সবচেয়ে বেশি। এবার শনাক্ত রোগী সংখ্যা এখনও কম হলেও মৃত্যু হার বেশি, শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় প্রত্যেকদিনই বেড়েছে। এ বছরের সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হয়েছে গতকাল সোমবার। পরদিন মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে দেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের প্রথম দিন রোগী ভর্তির সংখ্যা চারশ’ ছাড়ায়। এ বছর একদিনে চারশ’ রোগী ছাড়ানোর ঘটনা এদিনই প্রথম ছিল। গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় তিন হাজারের বেশি।

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয় আরও ৫৩৪ জন; মারা যায় ৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ১০২ জনের মৃত্যু হলো। আর ভর্তি রোগী দাঁড়াল ১৬ হাজার ৮১৯ জনে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

অধিদপ্তরের প্রতিদিনকার (সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায়) ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৪৭৮ জন, মারা যায় তিন জন। ২ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ২৮৯, মারা যায় এক জন। ৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৩৩৫ জন, মারা যায় এক জন। ৪ সেপ্টেম্বর কোনও মৃত্যু নেই, ভর্তি হয় ৩৮৫ জন।

৫ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৩৫৮ জন, মারা যায় তিন জন। ৬ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ১১৮ জন, মারা যায় এক জন। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর পরপর দুইদিন ৪ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়। তবে ৯ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৬ শতাধিক রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, ৭ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৪০৩ জন, মারা যায় তিন জন। ৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৪৬৩ জন, মারা যায় এক জন। গতকাল সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয় ৬১৫ জন, মারা যায় এক জন।

১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮১৯ জনে। তাদের মধ্যে গেছে ১০২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ; পুরুষ ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ। মৃত্যুতে নারীর হার বেশি, ৫২ শতাংশ, পুরুষের ৪৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক হাজার ৫৫ জন; মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন; মৃত্যু হয় তিন জনের। মার্চে ভর্তি হয় ৩১১ জন, মারা যায় পাঁচ জন। এপ্রিলে ভর্তি হয় ৫০৪ জন, মারা যায় দুই জন। মে মাসে ভর্তি হয় ৬৪৪ জন, মারা যায় ১২ জন। জুনে ভর্তি হয় ৭৯৮ জন, মারা যায় আট জন।

বছরের মাঝামাঝিতে জুলাই মাসে রোগী বাড়তে থাকে; মাস শেষে ছাড়িয়ে যায় দুই হাজারের ঘর। এ মাসে হাসপাতলে ভর্তি হয় ২ হাজার ৬৬৯ জন, মারা গেছে ১২ জন। গত মাস, আগস্টে রোগী কয়েকগুণ বাড়ে। ভর্তি হয় ৬ হাজার ৫২১ জন, মারা যায় ২৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ হিসাব শুধু তালিকাভুক্ত হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী। ওই তালিকার বাইরের হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার ও ওষুধের দোকান থেকে যারা ওষুধ খেয়েছে তারা রয়েছে এ হিসাবের বাইরে। এই রোগীদের তথ্য পাওয়া গেলে মোট রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে এ বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী চট্টগ্রাম বিভাগে। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ রোগীর সংখ্যা ৪৫ জন। এ বছর এককভাবে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী ধরা পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায়, ৪ হাজার ৩২২ জন। যে ১০২ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে ৫৮ জনই এ এলাকার।

সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যা করছে

ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম জানতে একাধিকবার দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করে সাড়া পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী খায়রুল আলম সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, তাদের সারা বছরের যে কার্যক্রম সেটা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস, ফগিং ও সচেতনতামলূক কার্যক্রম।

গত কয়েক মাসের সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের সবকিছু ফুল সুয়িং অবস্থায় রয়েছে।”

রোগী নিয়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগী বিভাগের পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, “রোগী ব্যবস্থাপনা নিয়ে হাসপাতালগুলো সচেষ্ট রয়েছে। কোনও কিছুর অভাব এবার হবে না।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা তো অফিসেই আসতে পারছি না, কীভাবে কাজ করব? প্রতিবছর এ সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ থাকে, দিক নির্দেশনা, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। আমরা তো এক অর্থে ঘরে বসে আছি অকার্যকর হয়ে।”

সিটি কর্পোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এলাকায় এলাকায় জনসম্পৃক্ততার কাজ করত কাউন্সিলররা। তারা কেউ এখন এলাকায়ই নেই। কাজের উদ্যোগ নেবে কে- দেখা দিয়েছে সে প্রশ্ন।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করছেন, নানা কারণে এবার রোগী বাড়ছে ‘লাফিয়ে লাফিয়ে’। তাই মৃত্যুও বাড়বে এবার।

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “সোমবার রোগী সংখ্যা আগের দিনের চাইতে লাফিয়ে বেড়ে ৬০০ এর বেশি হয়ে গেল। বৃষ্টি হচ্ছে, হবে। মশা মারার কার্যক্রম নেই, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ নেই। দিক নির্দেশনা নেই, হাসপাতালগুলোর পরিচালকরা নেই।

“হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসকরা বদলি, নানা ধরনের আতঙ্ক। রোগী বাড়ছে লাফিয়ে। রোগী বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ- কিছুই নাই। সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ চিন্তার বিষয় হয়ে গেল।”

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-আন্দোলনের সময় নিজ এলাকা মোহাম্মদপুরের কোনও স্থানে সিটি কর্পোরেশনের কোনও কাজ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই পরিচালক।

তিনি বলেন, “গত দুই মাস ধরেই তো সিটি কর্পোরেশনের কাজ চোখে পড়েনি, জায়গায় জায়গায় ময়লা, কন্টেইনার জমে আছে। পরিষ্কারই হচ্ছে না কিছু। কিন্তু কাজগুলো করবে কে, কোথাও তো কেউ নেই।”

অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, “মশা মারার সঙ্গে সঙ্গে যদি এখনই সব ধরনের অ্যাকশন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সিটি কর্পোরেশন না গ্রহণ করলে রোগী বাড়বে, সমানুপাতিকহারে বাড়বে মৃত্যু।”  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছরে ডেঙ্গুতে ১০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বে মারা যায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি, যার মধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনই বাংলাদেশের।

চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত