অর্থপাচার মামলায় ১২ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
তবে তার বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা চলমান থাকায় জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মামুন মাহবুব, তার সঙ্গে ছিলেন মো. মোহাদ্দেস উল ইসলাম টুটুল। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো. মোহাদ্দেস উল ইসলাম টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, “রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১২ বছর সাজা হয়েছে। এ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। জামিনের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তিনি ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে জেলে আছেন। সে হিসেবে সাজার সম পরিমাণ সময় তিনি জেল খেটেছেন।”
এ আদেশের পরে রফিকুল আমিন কারামুক্ত হবেন কিনা জানতে চাইলে এ আইনজীবী বলেন, “তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা চলমান। ওই মামলায় জামিন পেলে তবেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।”
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের কাছে প্রশ্ন ছিল জামিন ঠেকাতে আপিল করা হবে কিনা।
জবাবে তিনি বলেন, “আপিলের বিষয়টি দুদকে জানানো হয়েছে। এখন দুদক যদি সিদ্ধান্ত নেয় তবে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।”
অর্থ পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১২ মে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। অনাদায়ে আরও তিন বছর কারাদণ্ড হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান রফিকুল আমীন। তার সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের নামে দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুদক।
দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এর মধ্যে অর্থপাচার মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা হলেও ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলাটি নিম্ন আদালতে এখন বিচারাধীন।