জয় শব্দটা ভুলেই গেছে দুর্দান্ত ঢাকার ক্রিকেটাররা। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে পেয়েছিল ৫ উইকেটের জয়। এরপর থেকে আটকে আছে হারের বৃত্তে।
সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল তাদের হারাল ২৭ রানে। এবারের আসরে এটি ঢাকার টানা নবম হার।
প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের ঝোড়ো ফিফটির সুবাদে বরিশাল তোলে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ঢাকা তুলতে পারে ১৫৯ রান।
প্রথম ২ ওভারেই ছিটকে পড়ে ঢাকা। ১১ বলে হারিয়ে ফেলে তাদের প্রথম ৩ উইকেট। এরপর আর ম্যাচে ফিরতেই পারেনি।
শুধু অ্যালেক্স রসই যা একটু লড়াই করলেন। এমনকি ঢাকার কোনও ব্যাটসম্যান ১৫ রান করতে পারেননি। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের যাওয়া আসা দেখার ফাঁকে রস করেন অপরাজিত ৮৯ রান। ৪৯ বলে ৫টি ৪ ও ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। অবশ্য রসের এই রান কোনোই কাজে লাগেনি দলের, শুধু হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে।
বরিশালের দুই পেসার সাইফ উদ্দিন ও খালেদ আহমেদ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
জয় অনিশ্চিত। তবুও শেষ ওভারে সৌম্য সরকারের ওপর দিয়ে ঝড় তুলেছেন রস। এই ওভারে নিয়েছেন ২৩ রান। প্রথম বলে ছক্কা হাকানোর পর কোনও রান নেননি। কিন্তু এরপর টানা দুই ছক্কা, একটি বাউন্ডারি ও ১ রান নেন। কে জানে, বল বাকি থাকলে হয়তো সেঞ্চুরিও পেতে পারতেন তিনি।
ম্যাচসেরা তামিম ইকবাল এবারের বিপিএলে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। এতদিন ফিফটি ছিল না একটিও। মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪৯ রানের ইনিংসটি ছিল তার সেরা। সেটাও খেলেছিলেন আবার ৪৬ বলে।
বিপিএল চট্টগ্রামে ফিরতেই ছন্দ খুঁজে পেলেন তামিম। নিজের শহরে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেললেন ৪৫ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলা ইনিংসটিতে তামিমের স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৭৭। তিনি ফিফটি করেছিলেন ৩৪ বলে।
তামিমের ইনিংসে ভর করে ফরচুন বরিশাল পায় লড়াকু পুঁজি। আহমেদ শেহজাদ ২২ বলে ২৪, সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৮ ও মাহমুদউল্লাহ আউট হন ১০ বলে ১৩ রান করে।
উদ্বোধনী উইকেটে তামিম ও শেহজাদ নবম ওভারে গড়েছিলেন ৭৬ রানের জুটি। পরের ব্যাটাররা স্বাচ্ছন্দ্যে না খেলায় স্কোরটা ২০০ ছড়ায়নি তাদের।
শরিফুলের করা শেষ ওভারে ঝড় তুলেছিলেন সাইফউদ্দিন। প্রথম বলে ১ রান নেন শোয়েব মালিক। শেষ ৫ বলে সাইফউদ্দিন একাই করেছিলেন ২২। তাতে চার ও ছক্কা ছিল সমান দুটি করে।
ওভারটি থেকে আসে ২৩ রান, শরিফুলের ক্যারিয়ারে এটাই সবচেয়ে খরুচে ওভার। মালিক অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১০ রানে।
আলাউদ্দিন বাবু নেন ৩ উইকেট। তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন ২ উইকেট।