১২টি থানা ও ৬ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নগরীতে মানুষের বসতি বেড়ে যাওয়ায় এখন ৫০টি থানায় কাজ করছেন ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য। বিভিন্ন ধরনের উসকানির মুখেও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে নগরবাসীর ‘আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক’ হয়ে উঠেছে ডিএমপি।
“সেবা ও সদাচার, ডিএমপি’র অঙ্গীকার”- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস।
বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে রাজারবাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাহিনীর মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদস্যদের প্রতি প্রত্যশা ব্যক্ত করে বলেন, “পুলিশ হবে মানুষের প্রথম ভরসাস্থল। মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে হবে। থানাকে মানুষের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দেখতে চাই।”
ঢাকা মহানগর পুলিশকে এক্ষেত্রে এগিয়ে এসে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি। পুলিশের প্রশংসা করে পুলিশ প্রধান বলেন, “বিভিন্ন উসকানির মুখেও ধৈর্য, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ ও নগরবাসীর আস্থা কুড়িয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।”
বর্তমানে ৫০টি থানা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট হিসেবে ঢাকাবাসীকে সেবা দিচ্ছে ডিএমপি। আইজিপি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই ডিএমপির সাফল্য ও ব্যর্থতা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে মূল্যায়ন করা হয়। তাই নগরবাসীর সঙ্গে ডিএমপির সৌহার্দ্য ও সংহতি বাড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা নিতে হবে। নাগরিকদের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, “১২টি থানা ও ৬ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। নগরবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে এখন ৫০টি থানা ও ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি।”
তিনি বলেন, “প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে অপরাধের ধরন। ডিএমপি অতি দক্ষতার সঙ্গে এসব অপরাধ মোকাবেলা করে আসছে। অপরাধ দমনে ক্রাইম বিভাগের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। জঙ্গি দমনেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ডিএমপি।”
তিনি আরও বলেন,“নারী ও শিশু সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারীরা নারী পুলিশের কাছ থেকে সেবা নিতে পারছেন।”