পুঁজিবাজারে তেজিভাব এসেছে। ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমা তুলে নেওয়ার পর কয়েকদিন পতন হলেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বাড়ছে।
গত সপ্তাহে টানা চার দিন সূচক বেড়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনও সূচক বেড়েছে। এ নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। দীর্ঘ মন্দায় যারা এতদিন বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তারা ফিরে আসছেন। এতে লেনদেন ১৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বাজারের এই তেজিভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। সামনের দিনগুলোতে বাজার আরও ভালো হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তারা।
সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৪৬ দশমিক ০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১ হাজার ৬৫১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল একটু বেশি, ১ হাজার ৬৫৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চার দিনে (সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৫ পয়েন্ট বেড়েছিল। রবিবার বাড়ে ৬৭ পয়েন্ট। সোমবার বেড়েছে ৪২ পয়েন্টের মতো। সবশেষ মঙ্গলবার বেড়েছে ২৩ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে টানা সাত কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৬৬ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে খাতভিত্তিক শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে প্রকৌশল খাতের শেয়ার লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে, ১৭.১ শতাংশ। এরপর ছিল ওষুধ ও রসায়ন, ১৪.৯ শতাংশ এবং বস্ত্র খাত ৯.২ শতাংশ। এই তিন খাতের অবদান ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪১. ২ শতাংশ।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭০ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ১০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, দর কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।