[রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম তালুকদার মঙ্গলবার তার ফেইসবুক পোস্টে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০০ লিখেছিলেন। শুক্রবার সকাল সন্ধ্যাকে তিনি জানান, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৫। সেই অনুযায়ী সংবাদটিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পরিবর্তন করা হয়েছে।]
“এখন নিজেকে বেশ হালকা লাগছে,” গত ৫ মার্চ রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে ফেইসবুকে একথা লেখেন অসীম কুমার তালুকদার। তার আগে দিনভর বড় চাপে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এই কর্মকর্তা। রেলওয়ের ঘড়ির পেছনে চলার মধ্যে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার এই চাপটি কম বড় ছিল না সেদিন। তার উপর যোগ হয়েছিল ইঞ্জিন বিকল হওয়া।
রাতে যখন তিনি ফেইসবুকে পোস্ট লেখেন, ততক্ষণে ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে। তবে তা নিশ্চিত করতে অসীম তালকুদারকে যা করতে হয়েছে, সেজন্য এখন প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। কারণ তার উদ্যোগ না থাকলে এই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া হতো না, কারও কারও জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও ছিল।
‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ৫ মার্চ মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন শিফটে পরীক্ষা চলে। বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা ছিল। সব মিলিয়ে এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭০ হাজার ৯৭৬ জন।
বিকালের পরীক্ষার্থীদের অনেকে সকালে ঢাকা থেকে রওনা হতে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের টিকেট কেটেছিলেন। তবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তারা কমলাপুর এসে দেখেন, ট্রেনই নেই। কমলাপুর থেকে তিন ঘণ্টা পর ৯টা ১৫ মিনিটে ট্রেন চলতে শুরু করলেও পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের উদ্বেগও বাড়ছিল।
এসময়ই বিষয়টি গোচরে নেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম তালুকদার। উদ্বেগ প্রকাশ পায় তার ফেইসবুক পোস্টেও।
“প্রায় ৭০০ ছাত্র-ছাত্রী (প্রকৃত সংখ্যা ১২৫) আজকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে এসে বিকেল সাড়ে ৩টার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন । রেল ব্রোকেনের জন্য ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকেই বিলম্বে রওনা হয়। সকাল ১১টায় হিসেব করে দেখা গেল ট্রেনটি বিকেল ৩:০০ টা নাগাদ রাজশাহী পৌঁছবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে ট্রেনটি এগিয়ে আনছিলাম।”
তাতেও বাদ সাধে লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে।
“কী করা যায়, কী করা যায়, পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন কেটে এনে ধূমকেতু আবার চালু করলাম। হিসেবে করে দেখলাম, ট্রেনটি বিকাল ৪ ঘটিকায় রাজশাহী পৌঁছবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।”
তখন কী করা? এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ফোন করলেন অসীম তালুকদার।
“মাননীয় ভিসি মহোদয়কে পরীক্ষার সময় পেছানোর বিনীত অনুরোধ করলাম। তিনি আমাকে প্রায় ৪ বার ফোন করে ট্রেনের খবর নিলেন। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছে। দূশ্চিন্তা ছাড়ছে না। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
তারপরও যখন হচ্ছিল না, তখন ভিন্ন উপায় বের করেন রেল কর্মকর্তা অসীম।
“উপায়ন্তর না দেখে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাস করলাম। ঈশ্বরকে খুব একটা ডাকি না, পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে জোড়ে জোড়ে ডাকা শুরু করলাম, একটু মানতও করলাম। ঈশ্বর মনে হয় সদয় হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে দিলাম, তখন বিকেল ৩/৩৮ ঘটিকা। হলে ঢুকতে হবে ৪ টার মধ্যে।”
ছেলে বিশাল ঘোষকে নিয়ে ওই ট্রেনে ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেবাশীষ ঘোষ। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বললেন এই অসম্ভব যাত্রার কথা।
সেদিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন তারা। ট্রেন তিন ঘণ্টা দেরি করায় মেজাজ খুব খারাপ হচ্ছিল তাদের।
তবে তা কাটিয়ে উঠতেই ট্রেনের ধীর গতি উদ্বেগ ছড়িয়েছিল দেবাশীষসহ ট্রেনযাত্রী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মনে।
তিনি বলেন, “বিপদ হলো টাঙ্গাইল ছাড়িয়ে এলেঙ্গাতে গিয়ে। এলেঙ্গা থেকে উল্লাপাড়াতে নতুন রেল লাইনের কাজ চলছে, সেইসঙ্গে যমুনা ব্রিজে রেললাইনের কাজ-দুটো মিলিয়ে চাইলেও ট্রেন দ্রুত যেতে পারছে না, ভীষণ স্লো। আবার সেখানে বিভিন্ন ট্রেন ক্রস করছে, ধূমকেতুতে থামতে হচ্ছে, এখানে চাইলেও কিছু করার নেই ট্রেনচালকের।
“ততক্ষণে ট্রেনের ভেতরে চলছে আলোচনা-পরামর্শ। কিন্তু শেষ পেরেকটা আসলো যখন ইঞ্জিন নষ্টের ঘোষণা এল। ট্রেনের ভেতরে তখন কান্নাকাটি, চিৎকার, কেউ স্তব্ধ, কেউ গালি দিচ্ছে। এরপর দুপুর ৩টায় মাইকে ঘোষণা এল- শিক্ষার্থীদের সময়ের কথা চিন্তা আড়ানী স্টেশনে ট্রেন থামবে না।”
যাত্রীদের এক স্টেশন আগে নামার সেই দৃশ্যও অভাবনীয় ছিল দেবাশীষের কাছে।
“আব্দুলপুরে ট্রেন থামার পর পরের স্টেশন আড়াণীর যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ করে একটি ঘোষণা দেওয়া হলো। বলা হলো, আড়ানীর যাত্রীরা এখানেই নেমে যান। প্রতিটি মানুষ বিনাবাক্যে, টু শব্দ না করে প্রফুল্ল মনে ট্রেন থেকে নেমে গেলেন। যাবার আগে অভিভাবকদের বললেন, সন্তানদের সাহস দিতে, আর শিক্ষার্থীদের বললেন, মন খারাপ না করে সাহস রাখতে। আমি আমার এ জীবনে এমন দৃশ্য দেখব বলে আশা করিনি। এ এক অন্য বাংলাদেশের চিত্র দেখলাম বহু বছর পর।”
৫ মার্চের ঘটনার পর থেকে অসীম তালুকদারকে নিয়ে ফেইসবুকে চলছে তুমুল প্রশংসা। অনেকে ভারতের টিভি সিরিজ ‘দ্য রেলওয়ে মেন’ এর প্রসঙ্গও তুলে আনছেন।
১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপালে ব্যাটারি কারখানায় রাসায়নিক দূষণের পর রেল স্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টার এবং তার সহকারীরা কীভাবে মানুষকে বাঁচাতে নেমেছিলেন, তা নিয়েই সেই টিভি সিরিজ।
তার সঙ্গে তুলনা টেনে অসীম তালুকদারকে বাংলাদেশের ‘দ্য রেলওয়ে ম্যান’ বলছেন কেউ কেউ।
পিন্টু মণ্ডল নামের একজন জানান, অসীম তালুকদার মাঝেমাঝেই গভীর রাতে ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করে বিনা টিকেটধারীদের শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন এবং নিতান্তই অসহায়ের প্রতিও সদর থাকেন।
৫ মার্চের ধূমকেতু এক্সপ্রেসের টিকেট কেটেও দেরি দেখে ভ্রমণ না করা দেবাশীষ রুদ্র শর্মা খবরটি শুনে বললেন, “ভীষণ ভালো খবর। ট্রেন দেরিতে চালু হওয়াতে আমি বিকল্প উপায়ে গিয়েছি, কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের তো সেই অবস্থা ছিল না। অসীম কুমার তালুকদের জয় হোক।”
বাংলাদেশের বাইরে পিএইচডি করছেন রাজু নুরুল। তিনি বলেন, “এই হলো খবর, এই হলো ভাইরাল করার মতো জিনিস।
“তিনি এত কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। তবু একটু সহমর্মিতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে (প্রকৃত সংখ্যা ১২৫) চোখের পানি ফেলতে হয়নি।”
গত দুই দিনে পশ্চিম রেলে মহাব্যবস্থাপক অসীমের পোস্টের নিচে প্রায় এক হাজার মন্তব্য জমা হয়েছে। তার বেশিরভাগই প্রশংসামুখর।
তবে সেদিন ধূমকেতুর জন্য যে কয়েকটি ট্রেনকে থেমে অতিরিক্ত দেরি হয়েছে, সেই প্রশ্ন যেমন আসছে, তেমনি ধূমকেতুর সেদিন ঢাকায় পৌঁছতে দেরি কেন হল, তা কমাতে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হলো না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
অসীম তালুকদারের পোস্টের মন্তব্যে মো. আরিফ আলী নামে একজন লিখেছেন, “যেহেতু রাজশাহীতে পরীক্ষা ছিল, সেহেতু ট্রেনটি যখন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেই সময় প্রিফারেন্স দিয়ে ট্রেনটি চালানো উচিৎ ছিল।”
তবে সেই ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবারও ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়েছেও দেরিতে, রাজশাহীতে পৌঁছেছে দেরিতেই।
যা বললেন অসীম
পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ অবসানের দিকটি তখন সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছিলেন তিনি।
“ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে, এরজন্য আমরা দায়ী, শিক্ষার্থীরা নয়। অথচ ওদের পুরো জীবন এই পরীক্ষার উপর নির্ভর করছে।”
সেদিন ট্রেন ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরি করার পর ট্রেনের গার্ডদের কাছে যাত্রীদের মধ্যে অনেক পরীক্ষার্থী থাকার কথা জানতে পারেন তিনি।
“আমি ঢাকা এবং রাজশাহী কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলি, এই ট্রেনে প্রায় ৭০০ এর মতো (প্রকৃত সংখ্যা ১২৫) শিক্ষার্থী রয়েছে, এরা পরীক্ষার সময় নিয়ে বিচলিত, কান্নাকাটি করছে ভেতরে। আমরা দ্রুত যাব। কেউ যেন কন্ট্রোল রুম লিভ না করে।”
এরপর থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মধ্যে রাখা হচ্ছিল ধূমকেতু এক্সপ্রেসকে।
অসীম বলেন, “পুরো রেলকে জানাই, এই ট্রেন চলার পথে অন্য কোনও ট্রেনের ক্রসিং হবে না, সব ট্রেন থেমে যাবে। সব ছাপিয়ে এই ট্রেনকে আগে যেতে দিতে হবে।”
এরপর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার লাহেরী মোহনপুর স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হলে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন অসীম তালুকদার। তবে হাল ছাড়েননি তিনি।
“মনটা ভীষণভাবে খারাপ হলেও আমি এত সহজে হাল ছেড়ে দিতে রাজি হলাম না। দেখতে লাগলাম, আশেপাশে কোন স্টেশন রয়েছে, এরকম ইঞ্জিন কোথায় রয়েছে? একটা ছিল সিরাজগঞ্জে, আরেকটি ছিল পাবনার শরৎনগর স্টেশনে। কাছে হওয়াতে শরৎনগর থেকে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন কেটে ধূমকেতুতে বসানো হলো।”
পরীক্ষার্থীদের দুর্ভাবনা এড়াতে তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলেন অসীম।
“উপাচার্য স্যারকে জানালাম, ট্রেন পথে, আর তাতে অনেক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দেরিতে শুরু করা সম্ভব কি না, নয়ত ৭০০ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে। স্যার বললেন, ‘আপনি চেষ্টা করেন, আমি এদিকে দেখছি’। আমি একদিকে পুরো কন্ট্রোল রুম, আরেকদিকে স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছি।”
“স্যার নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালেন। কিন্তু তাতেও টাইম কভার করে না দেখে ঘোষণা দিলাম, আড়াণী স্টেশনে ট্রেন থামবে না, চলে যাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে, যেখানে সাধারণত ট্রেন থামে না।”
ট্রেন তখন চলছিল ৬৫ কিলোমিটারে, গতি বাড়িয়ে ৮৫ কিলোমিটারে তোলার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন।
পৌঁছনোর পরের দৃশ্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, “তখনকার দৃশ্য ছিল দেখার মতো, শিক্ষার্থীরা ছুটছে, ছুটছি আমরা, ছুটছেন অভিভাবকরা।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রায় ২০ মিনিট দেরি করে হলে ঢোকে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে ঢুকতে হয়। কিন্তু ট্রেনের দেরির কারণে তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। যদিও তাদের নষ্ট হওয়া অতিরিক্ত সময় আমরা দিতে পারিনি।”
কোন বোধ থেকে সেদিন কাজটি করেছিলেন- প্রশ্নে অসীম তালুকদার জানান, গতবছর নিজের ছেলের ভর্তি পরীক্ষার কথা মনে হয়েছিল তার।
“ছেলেকে নিয়ে কেবল দৌড়েছি। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী। এই পরিবারগুলোর কী অবস্থা হয়, সেটা জানি। আমি ভুগেছি, তাদের তাদের ব্যথাটা বুঝতে পারি বলেই সাধ্যমতো কিছু করতে চেষ্টা করেছি। তবে সেটা এভাবে আলোচিত হবে, এটা জানতাম না। ইনফেক্ট, আমি এতকিছু ভেবেও কিছু করিনি। কেবল ওদের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি।”
অসীম জানান, গত ৫ মার্চ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া পরীক্ষার জন্য রাজশাহীর সঙ্গে সংযুক্ত আটটি ট্রেনের সবার ছুটি বাতিল করেছেন। ১৩টি ট্রেনে যুক্ত করেছেন অতিরিক্ত ২১টি বগি।