ম্যাচের তখন ৪৮ মিনিট। ডান প্রান্ত দিয়ে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে লাইপজিগের তিন খেলোয়াড়কে কাটান ব্রাহিম দিয়াজ। বক্সে ঢুকে আরও দুই ডিফেন্ডারের বাঁধা এড়িয়ে দারুণ এক শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। অসাধারণ গোলের পর ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, ‘এই গোল দেখে মেসি নিশ্চয় গর্বিত হবে।’’
দিয়াজের চোখধাঁধানো এই গোলেই লাইপজিগের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। গত মৌসুমে গ্রুপ পর্বে এই মাঠে হেরেছিল রিয়াল। কালকের (মঙ্গলবার) জয়ে নেওয়া হল সেই প্রতিশোধ। রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয় লেগে দুই দল মুখোমুখি হবে আগামী ৬ মার্চ।
Está toma del GOLAZO de Brahim Díaz… 🤤 https://t.co/ZdCtBxCFTh
— MT (@MadridTotal_) February 13, 2024
ভিএআর বিতর্ক
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে রিয়ালের জালে বল পাঠিয়েছিলেন লাইপজিগের বেঞ্জামিন সেসকো। সেই গোলে অফসাইডের পতাকা তোলেন সহকারী রেফারি।
গোলের সময় অফসাইড পজিশনে ছিলেন লাইপজিগের বেঞ্জামিন হেনরিখস। তিনি বল স্পর্শ না করলেও রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিনের দৃষ্টিসীমায় তৈরি করেছিলেন বিঘ্ন। তাই ভিএআরে বদল হয়নি সিদ্ধান্ত।
ভিএআরের এই সিদ্ধান্ত মানছেন না লাইপজিগ কোচ মার্কো রোজ। এমনকি রিয়ালের টনি ক্রুসও বলেছেন, ‘‘গোলকিপারের দৃষ্টিতে বাধা তৈরি করাতেই অফসাইড হয়েছে। তবে গোলকিপার বলটা পেত না। এজন্য গোলই ছিল এটা।’’
লুনিনের ৯ সেভ
দুই দলেরই বল দখল ছিল সমান ৫০ শতাংশ। তবে রিয়াল লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছিল কেবল ৬টি আর লাইপজিগ ৯টি। এই ৯টিই সেভ করেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে এক ম্যাচে এর বেশি সেভ করেননি আর কোন রিয়াল গোলরক্ষক। ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে ৯টি সেভ করেছিলেন থিবো কোর্তোয়া।
দিয়াজের বেলিংহাম স্মরণ
মিলান থেকে যোগ দেওয়ার পর রিয়ালে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন নাা ব্রাহিম দিয়াজ। তবে ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগোদের সঙ্গে এখন তাল মিলিয়ে খেলছেন তিনি। এই মৌসুমে করেছেন ৮ গোলও।
লাইপজিগের বিপক্ষে গোলের পর দিয়াজের উদযাপন ছিল দলের সেরা তারকা জুড বেলিংহামের মত। চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া ইংল্যান্ডের এই তারকাকে স্মরণ করেই এমন উদযাপন। এ নিয়ে দিয়াজ জানালেন, ‘‘আমি বেলিংহামকে পছন্দ করি। ওকে স্পেনে আমিই স্প্যানিশ শেখাচ্ছি! ওর মত বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পারাটা বিশেষ কিছু।’’
দিয়াজকে প্রশংসায় ভাসালেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তিও, ‘‘গোলের আগে ভাবছিলাম ও যেন বলটা না হারায়। শেষ পর্যন্ত হারায়নি, কি দারুন গোল। মিলানে দুই বছর কাটিয়ে অনেক পরিণত হয়েছে ও।’’