অনীশ দাস অপুর গল্প অবলম্বনে, টিটো রহমানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ওটিটি প্লাটফর্ম দীপ্ত প্লে-তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওয়েব ফিল্ম ‘বিভাবরী’।
নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে নীতু। গ্রাম ছেড়ে পড়াশোনার জন্য শহরে এলেও জীবনযুদ্ধ তার নিত্যসঙ্গী। নিজের থাকা, খাওয়া, অসুস্থ মাকে টাকা পাঠানো-ডে কেয়ার সেন্টারে সামান্য ‘বেবি সিটারে’র কাজ করা আয় দিয়েই তাকে এসব সামলাতে হয়। এমনকি টাকা বাঁচাতে তাকে থাকতে হয় শহরতলির শেষে একটি পুরনো হোস্টেলে। কিন্তু ইদানিং হঠাৎ করেই হোস্টেলে ফেরার নির্জন পথে মাঝে মধ্যে অদ্ভুত ধরনের শব্দ শুনতে পায় সে। মনে হয় কিছু একটা অনুসরণ করছে তাকে। তবে এসবের গুরুত্ব নেই তার জীবনে। বাড়তি আয়ের আশায় একজনের পরামর্শে সে অনলাইনে বেবি সিটিং এর পেইজ খুলে বসে। সেই সুবাদেই একদিন কল আসে শহরের আরেকপ্রান্তে, এক বাসায়। বাবা-মা পার্টিতে যায়, আর বাচ্চকে রাখতে দিয়ে যায় দেখাশোনার জন্য। কিন্তু সে জানে না আজকের রাত, চন্দ্র গ্রহণের রাত। ক্ষুধিত আত্মার রাত। বিশেষত তার মতো ‘গোল্ডেন ব্লাড’ এর কোন মেয়ের জীবনে কী হতে যাচ্ছে আর কারাই বা তাকে ফলো করত নির্জন রাস্তায়!
রহস্যময় ওয়েব ফিল্মটির পরিচালক টিটো রহমান বলেন, “বাংলাদেশে মিস্ট্রি বা প্যারানরম্যাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে কাজ হলেও নিখাঁদ ভূতের গল্প নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে বা হলেও খুব বেশি মানোত্তীর্ণ হয়নি বলেই মনে হয়েছে। আমাদের চেষ্টা ছিল ভূত নিয়ে সিরিয়াস ধরনের কাজ করা, যেমনটা বাইরের দেশে হয়। ভয়ে আঁতকে উঠতে হয়। যদিও আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ভূতের গল্প ডিল করার জন্য খুব বেশি প্রস্তুত না, বাজেট, টেকনোলজি, মেকআপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে, তবু যা আছে তা নিয়েই আমরা আমাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করেছি। আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ‘বিভাবরী’ দেখতে।
ওয়েবফিল্ম ‘বিভাবরী’-তে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, ফারিহা শামস সেউতি, রোজী সিদ্দিকী ও রিফাহ নাজিবা।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে এ ওয়েবফিল্মটির প্রচারণায় লাইভে এসে বিতর্কিত হয়েছেন এর অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। পরবর্তীতে ক্ষমাও চান এ অভিনেত্রী। দীপ্ত প্লে জানায়, চলতি মাসের শেষেই মুক্তি পেতে পারে ‘বিভাবরী’।