নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মতো সেনবাগেও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম দিপু।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার নোয়াখালীর তিন উপজেলা সেনবাগ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ীতে ভোট হয়।
রাতে ঘোষিত ফলে দেখা যায়, সেনবাগে চেয়ারম্যান পদে দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. আবু জাফর টিপু দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।
সেনবাগ উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম বেঙ্গল গ্রুপের কর্ণধার। ছেলে দিপুও বেঙ্গল গ্রুপের একজন পরিচালক। আরটিভির পরিচালনা পর্ষদেও দিপু রয়েছেন।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিয়ে সব নেতাদের লড়াইয়ের পথ খুলে দিয়েছিল। তবে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হতে দিয়েছিল নির্দেশ।
কিন্তু কেন্দ্রের সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হন। প্রথম ধাপের ভোটে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সেখানকার সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে ইশরাক শাবাব চৌধুরী। এবার সেনবাগেও সংসদ সদস্যের ছেলেই উপজেলা চেয়ারম্যান হচ্ছেন।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দিপুর পক্ষে তার বাবা সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ ছিল। একই অভিযোগ একরামের বিরুদ্ধেও উঠেছিল।
চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।
সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।