পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের যাতায়াত অনেক বছর ধরেই। এদের মধ্যে যেমন আছেন ব্যবসায়ী, তেমনি শিক্ষার্থী ও শ্রমিকও রয়েছেন। গত দুই দশকে কর্মী ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যাই অর্ধ লক্ষাধিক।
এমন প্রেক্ষাপটে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে আগ্রহী দুই দেশই। এখন কেবল বাকি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষর।
রবিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টের (বিমান পরিষেবা চুক্তি) কপি বাংলাদেশ পক্ষকে দিয়েছে। আশা করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দুই পক্ষ এ বিষয়ে অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করতে পারব।”
অ্যাগ্রিমেন্টটি স্বাক্ষরিত হলে তা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় বিমানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট সংশোধন করার মাধ্যমে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এদেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ নতুন করে বিভিন্ন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন ফারুক খান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।