জুনের মাঝামাঝিতে দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদ ঘিরে যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকের কারণে প্রতি বছরই মহাসড়কগুলোতে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়াও গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে আয়োজিত সভা শেষে এসব নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, ঈদের আগে নতুন করে সড়কে কোথাও কোনও ধরনের খোঁড়াখুড়ি করে যেন জনভোগান্তি সৃষ্টি করা না হয়, সেই বিষয়ে সভায় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মেরামত কাজ ঈদের আগেই শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এবারের ঈদের সাত দিন আগেই সড়ক মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে গাজীপুরের সাতটি ফ্লাইওভার চালু করা হয়েছে। এতে ওই এলাকায় যানজট কমেছে। আশা করি ঈদযাত্রায়ও যানজট হবে না।”
তবে ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যানজট হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এই ফ্লাইওভারের নিচেও জটলা সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। যানজট কীভাবে নিরসন করা যায়, সেটাও দেখতে হবে।”
ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় কেউ যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।
এছাড়া ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে কিন্তু বাস বাস মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিচে নেমে গেছে– এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাস মালিকরা ভালো গাড়ি চালায় না। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীর প্রবেশপথগুলো নজরদারিতে রাখতে হবে। লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রং দিয়ে লাভ নাই, ফিটনেস আছে কিনা তা দেখাতে হবে।”