দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্তির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
এক দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনার সামনেই অবস্থান করেন তারা। পৌনে ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করার পর কর্মসূচি শেষ হয়।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচি থেকে মূলত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি জমা নেওয়ার আগে কথা হয় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অটিজম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঙ্কুর হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের একটাই দাবি আমাদের প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্বীকৃতি। সেই দাবিতেই এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করেছি। বারবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের ইগনোর করা হচ্ছিল।
“এই স্বাধীন দেশে কেন আমরা দাবি জানাতে পারব না? এই বৈষম্য কেন? আমরা তার প্রতিবাদ করছি।”
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, বিশেষ বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান স্বীকৃতি এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। যার আলোকে সারাদেশ থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে প্রায় ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় আবেদন করে। আবেদন যাচাই-বাছাই করে তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে হঠাৎ করে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
পরিদর্শন, অনুমোদন, এমপিওর কাজ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির কাজ না হওয়ায় তাদের মানবেতন জীবন কাটাতে হচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করতেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা