কর্মস্থলে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অনুপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে।
তাদের মধ্যে ডিআইজি ১ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ জন, পুলিশ সুপার ২ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১ জন, সহকারী পুলিশ সুপার ৫ জন, পুলিশ পরিদর্শক ৫ জন, এসআই ও সার্জেন্ট ১৪ জন, এএসআই ৯ জন, নায়েক ৭ জন এবং কনস্টেবল ১৩৬ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদেরকে আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “যোগদান করেনি এমন পুলিশ সদস্যের সংখ্যা খুবই নগণ্য। মূলত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরাই কর্মস্থলে যোগদান করেনি।”
এসব পুলিশ সদস্যকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, দেশের মানুষ তার ‘সুফল’ ভোগ করবে বলেও এসময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী অনেকদিন ধরে মাঠে থেকে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। জনসেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
“আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। সেটা পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করছে সেনাবাহিনী।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি জনবান্ধব সুশৃঙ্খল বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগাযোগে বা তাদের নিকট থেকে সহযোগিতা নিতে সাধারণ জনগণের কোনও সমস্যা নেই।”