বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে সৌদি আরবে যেতে এখন ন্যূনতম খরচ হয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। সবশেষ ২০২৪ সালে সরকারি হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। যার মধ্যে শুধু বিমানভাড়াই ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
হজ পালনের এই খরচ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য এই খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য বলে বহুবারই সরকারের সঙ্গে খরচ কমানোর বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু হজ বাণিজ্য যেহেতু সৌদি আরবের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই কেবল একটি দেশের সরকার চাইলেই খরচ কমাতেও পারে না।
অবশ্য খরচ কমাতে গত কয়েক বছর ধরেই হজের আগ মুহূর্তে আলোচনায় আসে সমুদ্রপথে জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়টি। অন্তত গত ১০ বছর ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় আলোচনা-তোড়জোড়, তবে শেষ পর্যন্ত উড়োজাহাজেই হয়েছে যাত্রী পরিবহন।
এই মৌসুমে হজযাত্রী পাঠানোর নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে হজের খরচ কমানোর বিষয়ে তৎপর হয়েছেন উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন। সেই তৎপরতার মধ্যেই সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও সমুদ্রপথে যাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড।
তবে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে তেমনি জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আফ্রিকার দেশ সুদান ছাড়া পৃথিবীর কোনও দেশই এখন আর সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠায় না। এমনকি প্রতিবেশী ভারতের কাছে বড় ও আধুনিক ক্রুজ শিপ থাকলেও তারা আকাশপথেই হজযাত্রী পাঠায়।
জাহাজে হজযাত্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে হজের খরচ সাশ্রয় করা। কিন্তু কোনও অভিজ্ঞতা ও আধুনিক অবকাঠামো ছাড়া এই উদ্যোগ নেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
তাছাড়া, জাহাজে হজযাত্রী পাঠাতে চাইলেই পাঠানো যাবে না। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের যাত্রী পরিবহন চুক্তিটি আকাশ পথে। এখন জাহাজে পাঠাতে গেলে প্রথমেই চুক্তি নবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে বিদেশে যাত্রী পাঠানোর জন্য অবকাঠামো নেই, ইমিগ্রেশনের অভিজ্ঞতাও নেই। তৃতীয়ত, বর্তমান হজ প্যাকেজের তুলনায় জাহাজে যাত্রী পাঠাতে খরচ কমবে দুই লাখ টাকার মতো। ফলে সেটি দুই দেশের সরকারের যে চুক্তি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তাও দেখার বিষয়।
তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি এখনও বিবেচনায় রেখেছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর একটি প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে বিবেচনাধীন। তাদের প্রস্তাবে ৩ হাজার হজযাত্রী সমুদ্রপথে পাঠানোর কথা আছে। আর খরচ বর্তমান প্যাকেজ থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা কম থাকবে বলে প্রস্তাবে আছে। আমরা সেটি বিবেচনা করে দেখছি।”
জাহাজে চেপে সৌদি আরব
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তানের হজযাত্রীরা এই বন্দর দিয়েই সৌদি আরবে যেতেন। তাদের সুবিধার জন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে একটি স্থায়ী হাজী ক্যাম্পও প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু ছিল।
তবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর শুরুতে তাকে স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। স্বাভাবিকভাবেই তাই হজ পালনের অনুমতি পাননি বাংলাদেশের মানুষ। সেসময় ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে, ভারত হয়ে হজে যেতে হতো আগ্রহীদের।
১৯৭২ সালে সৌদি আরবকে এ বিষয়ে চিঠি দেন শেখ মুজিবুর রহমান। পরের বছর আলজেরিয়ায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশিদের হজ পালনের অনুমতির দাবি জানান। তবে এ অনুমতির বিপরীতে সৌদি বাদশাহ ফয়সাল যে শর্ত দিয়েছিলেন তা মানতে পারেননি শেখ মুজিব। ফলে সে বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়নি।
নানা ঘটনা পরিক্রমার পর বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে যেতে শুরু করেন মানুষ। যাত্রী পরিবহনে ১৯৭৭ সালে হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ কেনা হয়। সেই ছোট জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরব পৌঁছতে সময় লাগত এক মাসের বেশি। পরে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে বন্ধ হয়ে যায় জাহাজে হজযাত্রী পরিবহন।
যা আছে প্রস্তাবে
আট বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেইজাহাজে হজযাত্রার প্রস্তাব আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে সেটি আর অনুমোদন পায়নি। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ে নতুন করে প্রস্তাব দেয় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিনপাড়ে আনোয়ারায় জাহাজ নির্মানের ইয়ার্ড আছে। বাংলাদেশের মধ্যে তারা বেশকটি যাত্রীবাহী জাহাজ পরিচালনা করে। কিন্তু বিদেশে ক্রুজ জাহাজ পরিচালনার অভিজ্ঞতা তাদের নেই।
প্রস্তাব সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা ৩০ দিনের প্যাকেজে আসা-যাওয়া থাকাসহ ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার একটি প্রস্তাব দিয়েছি। জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় যেতে সময় লাগবে ৮ দিন আসতে সময় লাগবে ৮ দিন, অর্থাৎ ১৬ দিন তাদের জাহাজেই কাটবে। এর বাইরে ১৪ দিন রাখা হবে সৌদি আরবে হজ পালনকাজে। সব খরচই এই প্যাকজে অন্তর্ভূক্ত।”
তাদের প্রস্তাবে বলা আছে, ৩২ তলাবিশিষ্ট একটি পুরাতন ক্রুজ জাহাজ ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানি করা হবে। যেখানে একসঙ্গে তিন হাজার হজযাত্রী বহন করা যাবে। জাহাজে বিশাল একটি মিলনায়তন থাকবে, যেখানে একসঙ্গে দুই হাজার হজযাত্রী বসতে পারবেন।
সেই মিলনায়তনে হজ সম্পর্কিত বয়ান শুনেই সৌদি আরবে যাবেন যাত্রীরা।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বছরে দু’মাস হজযাত্রী বহন করবে জাহাজটি। বাকি ১০ মাস এশিয়ার বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে চলবে।
ইঞ্জিনিয়ার রশিদ বলেন, “সমুদ্রপথের হজযাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে কথা বলবে ধর্ম মন্ত্রনালয়। সেখানে অনুমোদন মিললে আমরা প্রস্তুত। বাংলাদেশ অংশে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি নেই।”
সৌদি সরকারের অনুমতি মেলা নিয়ে সংশয়
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বছরে কতজন হজে যাবে তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব সরকার। প্রতিটি দেশের সঙ্গে তাদের আলাদা চুক্তি থাকে; যেখানে হজযাত্রীর পরিবহন থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া, ভ্রমণ সবকিছুর খরচ অর্ন্তভূক্ত থাকে।
বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি তাতে শুধু উড়োজাহাজেই যাত্রী পরিবহনের কথা বলা আছে। ফলে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পরিবহন করতে হলে সেই চুক্তি রিভিউ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বছরে যে কয়জন হজযাত্রী সৌদি আরব যান তাদের জন্য তিনটি বিমান সংস্থা নির্ধারিত আছে। নীতিমালা অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ পরিবহন করে বাংলাদেশ বিমান, বাকি ৫০ শতাংশ পরিবহন করে সৌদি আরবের সাউদিয়া এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস এয়ার।
হজযাত্রা আয়োজন ঘিরে সৌদি আরব সরকারের বড় ধরনের আয় হয়। এই আয়োজন তাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের সরকারি হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এরমধ্যে শুধু উড়োজাহাজ ভাড়াই ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন বাবদ এই খাতে সৌদি আরব গত বছর আয় করেছিল ৮১১ কোটি টাকা।
প্রস্তাব অনুযায়ী, তিন হাজার যাত্রী যদি জাহাজে সৌদি আরবে যায় তাহলে দেশটির সরকার ৫৮ কোটি টাকা আয় বঞ্চিত হবে। ফলে তারা এক্ষেত্রে ছাড় দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তাছাড়া বিমানবন্দর দিয়ে একটি দ্রুতগতির সিস্টেম তৈরি হয়ে আছে, যেখানে যাত্রীদের ভোগান্তি হয় অনেক কম। এখন জাহাজে করে পাঠাতে গেলে নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। যা খরচ ও সময়সাপেক্ষ।
এবিষয়ে জানতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রস্তাবের কথা আমরা শুনেছি কিন্তু আমার দপ্তর পর্যন্ত সেটি আসেনি। এলে সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড বে ওয়ান এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস দিয়ে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনস রুটে পর্যটক পরিবহন করে। সেই দুটি জাহাজ দিয়ে হজযাত্রী পরিবহন সম্ভব নয় কারণ সেগুলো ছোট জাহাজ। নতুন জাহাজ কিনে বা ভাড়ায় এনে হজযাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং।
যদিও ইঞ্জিনিয়ার রশিদ বলছেন, “আমরা নতুন জাহাজ ভাড়ায় এনে হজযাত্রী পরিবহন করবো। সরকার যদি দ্রুত অনুমোদন দেয় আমরা ভাড়ায় সেই জাহাজ আনবে। দেরি করলে অবশ্য সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজ আনা কঠিন হবে।”
পতেঙ্গায় চট্টগ্রাম একাডেমির সামনে থাকা কর্ণফুলী নদীর পাশে থাকা জেটিতেই জাহাজটি ভিড়ানো যাবে বলেও জানান তিনি। হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বিমানবন্দরেই করা যেতে পারে, এমন মত দেন তিনি।
জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, “এই প্রস্তাব আমার কাছে স্টান্টবাজির মতো মনে হয়। কারণ প্রায় প্রতিবছরই তিনি এই প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় সেটি সম্ভব নয়।”
তার মতে, জাহাজে পাঠাতে গেলে সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করতে হবে। আবার বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব দুই দেশেই ইমিগ্রেশন, হজ ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করতে হবে। ফলে এখন বললেই আগামী বছর থেকে হবে সেটি আশা করা যায় না। অন্তত কয়েক বছর সময় নিয়েই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ বলেন, “আমরা হজযাত্রী পরিবহনে আর্ন্তজাতিক মানের ক্লাসসনদ নিয়ে বিদেশ থেকে জাহাজ নিয়ে আসব। ফলে সেই জাহাজে যাত্রী পরিবহনে সেবার মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না।”
৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার প্যাকেজ সাড়া মিলবে?
২০২৪ সালের শেষ হওয়া হজ যাত্রায় উড়োজাহাজে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সেখানে সময় লাগতো সর্বোচ্চ ৪২ দিন। বিমানে যেতে সময় লাগতো মাত্র পাঁচ ঘন্টা। ফলে দ্রুত পৌঁছলে সৌদি আরবে বেশি সময় থেকে ইবাদতের সুযোগ থাকে।
সমুদ্রপথে প্যাকেজের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় যেতে সময় লাগবে ৮ দিন আসতে সময় লাগবে ৮ দিন। সেখানে ১৬ দিন তাদের জাহাজেই কাটবে। এর বাইরে ১৪ দিন রাখা হবে সৌদি আরবে। এই প্যাকেজের মধ্যে থাকা-খাওয়া অর্ন্তভূক্ত। এখানে বেশিরভাগ সময় জাহাজে থাকলে মক্কা-মদিনার পাশে থেকে ইবাদতের সুযোগ কমবে।
আবার সমুদ্রপথের জন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার প্রস্তাবিত প্যাকেজ ব্যয়বহুল বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এই ভাড়ায় সাড়া মিলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদের দাবি, তাদের প্রস্তাবিত ভাড়া যৌক্তিক। কারণ এর মধ্যে খাবারসহ অন্যান্য খরচও অন্তর্ভূক্ত। তিনি জানান, সরকার যদি সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করে হজের খরচ কমাতে পারে তাহলে সমুদ্রপথে প্যাকেজের খরচও কমাবেন তারা।