নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোনও ক্ষতি নেই, আমাদের এখানে চিকিৎসা ও বাজার সবই আছে।
তিনি বলেন, সমস্ত পৃথিবী থেকে ভারতে ভ্রমণকারীর মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান দ্বিতীয় বৃহত্তম। এ খাত থেকে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবেশী দেশটি বিশাল লাভবান হয়। তারা যেতে না করলে বাংলাদেশিরাও ভারতে যাবে না।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব ও কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন শুক্রবার দুপুরে যশোরের বেনাপোল কার্গো ইয়ার্ড ও ইমিগ্রেশন পরিদর্শন শেষে একথা বলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অবস্থান করছেন ভারতে। মূলত তাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের এক ধরনের অস্বস্তিকর সম্পর্ক তৈরি হয়।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা হলে তা নিয়ে সরব হয় ভারত। সেইসঙ্গে অধিকার আদায়ে ও নিরাপত্তার খাতিরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হন হিন্দু নাগরিকদের একটি বড় অংশ।
গত ২৫ নভেম্বর সেই জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের পরিস্থিতি। তার মুক্তি চেয়েও দাবি আসে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশকিছু স্থানে পদদলিত করা হয় ভারতের পতাকা। চিন্ময় গ্রেপ্তার ও পতাকা পদদলনের প্রতিক্রিয়ায় ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা চালায় একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা, পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও। একই দিন ভারতের আরও কয়েকটি স্থানে চলে বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ।
বাসস জানিয়েছে, বেনাপোলে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত বলেন, “আমাদের মধ্যে মেজরিটি-মাইনোরিটি কোনও বিভাজন নেই। এখানে সবধর্মের মানুষ বসবাস করছেন।”
কোনও ধরনের উষ্কানিতে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ঐতিহাসিকভাবে এক আছি।”