রাঙ্গামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর মধ্যে যুক্তিতর্কের সময় বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মীদের দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবীকে মারধর ও তার ব্যক্তিগত চেম্বারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তছনছ করে দেওয়া হয়েছে চেম্বারে থাকা বই ও নথিপত্র। বাদীপক্ষের আইনজীবীর বাড়িতে হামলা ও হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে রাঙ্গামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত একটি ফৌজদারি মামলার যুক্তিতর্ক চলছিল। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ ইকবাল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ।
যুক্তিতর্কের সময় একপর্যায়ে রাশেদ ইকবাল ও মামুনুর রশিদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে দুজনই আদালতের এজলাস ছাড়েন।
অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি)। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি মাসের ৩ নভেম্বর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট রাশেদ ইকবাল রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
রাশেদ ইকবালের অভিযোগ করে বলেন, “পারিবারিক এক মামলায় আমি বাদীপক্ষের আইনজীবী হয়ে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করার সময় মামুনুর রশিদ আমাকে আদালত ভবনের চারতলা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে বলেন। তিনি আমাকে বলেন, ‘তোর আওয়ামী লীগের সময়ে অনেক কিছু করেছিস।’
“আমি উনাকে বলি, একজন আইনজীবী হয়ে আদালতে আপনি এসব বলতে পারেন না।”
রাশেদ বলেন, “শুনানি শেষে আমি আমার চেম্বারে গেলে মামুনুর রশিদ তার বিএনপির লোকজনদের পাঠিয়ে আমার চেম্বারে হামলা চালায়। আমি কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।
“পরে তারা আমার চম্পকনগরের বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। আমার অসুস্থ মাকে গালিগালাজ করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুজন আইনজীবীর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত যুক্তিতর্কের বিষয়টি মামুনুর রশিদ রাজনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।”
রাশেদ ইকবালের অভিযোগ সম্পর্কে মামুনুর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।
