সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্রসহ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে।
সোমবার এক আদেশে একথা জানানো হয়, পরে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমও এতথ্য নিশ্চিত করেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদের আদেশে বলা হয়, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ অনুযায়ী, স্থানীয় পর্যটন পার্বত্য জেলা পরিষদের তফসিলভুক্ত কাজ। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সাজেকসহ বিভিন্ন এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অপরিকল্পিভাবে বাণিজ্যিক ভবন/পর্যটন স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। এতে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অগ্নি দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।
আদেশে আরও বলা হয়, “এর পরিপ্রেক্ষিতে সাজেকসহ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অধিক্ষেত্রে সকল জায়গায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য পরিষদের অনুমোদন ছাড়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনও বানিজ্যিক ভবন/স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হলো। একই সঙ্গে নির্দেশনা কার্যকরে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার প্রতি নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।”
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ সই হয়। চুক্তি সইয়ের ১৬ বছর পর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট স্থানীয় পর্যটনখাত জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করে সরকার।
খাতটি হস্তান্তরের এক দশক পর এই প্রথম এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিল রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
মূলত রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি উপত্যকায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগুনে রিসোর্ট-কটেজ, হোটেল-রেস্তেরাঁ, স্থানীয়দের বসতবাড়িসহ ৯৮টি স্থাপনা পুড়ে যায়। এ ঘটনায় নানান আলাপ-আলোচনার পর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পর্যটন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আদেশ জারি করা হলো।



