‘মিশন ইলেভেন’ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নেমেছেন নোভাক জোকোভিচ। প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ শিরোপা তারই দখলে। সেটি এবার ১১-তে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য। সেই অভিযানে দুরন্ত গতিতে ছুটছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। আজ (রবিবার) মেলবোর্নে কাটালেন অনিন্দ্য সুন্দর দিন। ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের গতিঝড়ে পৌঁছে গেছেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে।
মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় শেষ ষোলোতে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ছিলেন আদ্রিয়ান মানারিনো। ২০তম বাছাই এই ফরাসিকে আক্ষরিক অর্থেই উড়িয়ে দিয়েছেন ছেলেদের এককের নাম্বার ওয়ান। ২৫তম গ্র্যান্ড স্লামে চোখ রেখে শেষ আট নিশ্চিত করেছেন ৬-০, ৬-০, ৬-৩ গেমে। একটুর জন্য ‘ট্রিপল ব্যাগেল’ করতে পারেননি জোকোভিচ।
টেনিসের কোনও সেট ৬-০ গেমে জিতলে তাকে বলা হয় ‘ব্যাগেল’। জোকোভিচ প্রথম দুই সেট জেতেন ৬-০ গেমে। ফলে ১৯৯৩ সালের পর গ্র্যান্ড স্লামে আবারও ‘ট্রিপল ব্যাগেল’ দেখার সম্ভাবনা জাগে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন যা দেখেনি কোনও দিন। কিন্তু তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান ফরাসি প্রতিপক্ষ। তাতে হতাশা তৈরি হয় মেলবোর্ন পার্কের গ্যালারিতে!
মেলবোর্নে কিন্তু স্মরণীয় এক দিন পার করেছেন জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ৩২ ম্যাচ জয়ের পর সার্বিয়ান তারকার বক্তব্য, “প্রথম দুই সেট ছিল দুর্দান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ করে ফেলেছি।” যদিও প্রতিযোগিতাটির শুরুটা ভালো ছিল না তার। প্রথম দুই ম্যাচেই সেট ড্রপ করেছেন। পারফরম্যান্সে ছিল ঘাটতি। কারণ হিসেবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন।
তবে এখন ভালো আছেন তিনি, “গত কয়েকদিন খুবই ভালো আছি। সবকিছু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। স্বাস্থ্যগত ও টেনিসের দিক থেকে এই মুহূর্তে খুব ভালো আছি। সব মিলিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স। দারুণ একটা দিন।”
কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ১২তম বাছাই টেইলর ফ্রিটস। এই আমেরিকানের সঙ্গে ২০২১ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে খেলেছিলেন সার্বিয়ান নাম্বার ওয়ান। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে শেষ হাসি ছিল জোকোভিচের ঠোঁটে। সব মিলিয়ে আটবার দেখা হয়েছে দুজনের। সবশেষ ২০২৩ সালের ইউএস ওপেনে সরাসরি সেটে জিতেছিলেন জোকোভিচ।