বাংলা বর্ষবরণে অনুষ্ঠান ঘিরে নাশকতার কোনও শঙ্কা দেখছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারপরও সন্ধ্যার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা কেন? সেই প্রশ্নে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বললেন, নিরাপত্তার স্বার্থে।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন শনিবার তিনি ঢাকার রমনা বটমূলে নিরাপত্তার বন্দোবস্তু দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
রবিবার ভোরে এই রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এছাড়া নানা অনুষ্ঠানে মুখর থাকবে এই এলাকাটি।
পাশাপাশি সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরসহ নানা স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
হাবিবুর রহমান জানান, ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই নিরাপত্তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
“পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই। তবুও অতীতের সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।”
তিনি জানান, যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে, সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। ডিএমপির ডগ স্কোয়াডও থাকবে। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকেও সতর্ক রাখা হবে। রমনার প্রবেশমুখে আর্চওয়ে দিয়ে সবাইকে ঢুকতে হবে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত রমনা পার্কে প্রবেশের সুযোগ থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এরপর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সন্ধ্যার আগে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুষ্ঠানের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।”
বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানমালা ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে হাবিব বলেন, “কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। যারা গাড়ি চালাবেন, তাদের প্রতি অনুরোধ যেন পুলিশকে সহায়তা করেন।”