একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বোম ডিসপোজাল, সোয়াত টিম, টহল দল, ড্রোন, সাইবার পেট্রোলিং মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, জঙ্গি হামলার কোনও সুনির্দিষ্ট হুমকি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া শহীদ মিনারের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। শহীদ মিনারে চার স্তরের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ একাধিক সাপোর্ট টিম থাকবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনের চারপাশে; এছাড়া ড্রোন পেট্রোলিং, সাইবার পেট্রোলিং ও গোয়েন্দা পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সাধারণের চলাচলের জন্য শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত ক্রসিংসহ ঢাকার ১৩টি মোড় বন্ধ থাকবে।