পেলের সঙ্গে তুলনা চলে আসছিল এনদ্রিকের। ওয়েম্বলিতে বদলি নেমেই গোল করেছিলেন এই তরুণ। বয়স ১৮ হওয়ার আগে তাকে দলেও ভিড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই এনদ্রিক প্রথমবার ব্রাজিলের জার্সিতে শুরুর একাদশে নেমে মাঠে ছিলেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে।
ম্যাচে ২৪বার বল স্পর্শ করে ১৫ বার সেটা হারিয়েছেন এনদ্রিক। ১৪টি ডুয়েলের জিতেছেন কেবল ৪টি। সতীর্থদের বাড়ানো তার ৫টি পাসের লক্ষ্যে ছিল কেবল ১টি, সেটাও কিক অফের পাস। উরুগুয়ের পোস্টে ৮৩ মিনিটে লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছিলেন একটিই, যা ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষকের।
এমন পারফর্ম্যান্সের পরও ভেঙে পড়ছেন না এনদ্রিক। ব্রাজিলিয়ানদের সমর্থন চাইলেন তিনি, ‘‘আমরা জানি, এখন জটিল সময় পার করছি। এমন সময়ে ব্রাজিলিয়ানের সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। ব্রাজিলকে আমরা সবসময় উঁচুতে রাখতে চাই। এজন্য পরিশ্রম করতে থাকব আর প্রস্তুতি নিব বিশ্বকাপ বাছাইয়ের।’’
এনদ্রিকের মতো বিবর্ণ ছিল পুরো ব্রাজিল। তাই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল তারা। টাইব্রেকোরে হারের পর নিজের হতাশা লুকাননি ব্রাজিলের কোচ দোরিভাল জুনিয়র। তবে আশাও ছাড়ছেন না তিনি, ‘‘টেকনিক্যালি আমরা উচুঁ মানের ফুটবল খেলতে পারিনি। এই দলটা সাহসি ছিল। সবাই লড়াই করেছে। এমন ফলের পরও তাই আমরা থমকে যাব না। নেতিবাচক জিনিসের চেয়ে ইতিবাচক অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’’
উরুগুয়ে একটা সময় পরিণত হয়েছিল ১০ জনের দলে। সেই সুযোগটা নিতে না পারার ব্যাখ্যায় অদ্ভুত যুক্তি দিলেন দোরিভাল, ‘‘এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল অন্য পর্যায়ের। যখন ওরা ১০ জনে পরিণত হলো তখন আমাদের জন্য ব্যাপারটা আরও জটিল হয়ে গেল। মাঠের পাশে ভারসাম্য রেখে শান্তভাবে প্রবেশ করার মতো স্বচ্ছতা আমাদের ছিল না। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে ঘটেনি।’’
বিপক্ষ ১০ জন হয়ে গেলে যখন সুবিধা হয়, সেখানে কিনা জটিলতা বেড়েছে ব্রাজিলের! এর সমাধান না থাকাতেই সেমিফাইনালের আগে বাড়ি ফিরবে তারা। হতাশাটা পেছনে ফেলে দোরিভাল চান পরের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে। লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে ছয় নম্বরে থাকা কোচের পরের লক্ষ্য এটাই, ‘‘ ব্রাজিলের এখন সংস্কার কিংবা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। এই পথচলায় আসা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আমরা সচেতন। তবে এটাও জানি যে, একটি নক-আউট ম্যাচে আমরা হেরে গেছি, যা প্রত্যাশিত ছিল না। আপাতত মূল লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া। আমরা পয়েন্ট তালিকায় ছয়ে আছি, এটা স্বস্তির নয়।’’