শুরুতেই বিতর্কের মুখে পড়লেন দোরিভাল জুনিয়র। ধর্ষণের দায়ে ৯ বছরের জেল হওয়া রবিনহোকে ‘চমৎকার মানুষ’ আখ্যা দিয়ে ব্রাজিল কোচ পড়ে গেলেন বেশ চাপে। অথচ ওয়েম্বলিতে তার অধীনে শনিবার রাতে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে ‘চাপে থাকা’ ব্রাজিল।
ফুটবলে তাদের বিশাল ঐতিহ্য থাকলেও এখনকার অবস্থা খুব সুবিধার নয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তারা আছে ৬ নম্বরে। মাঠের খেলায়ও নেই ইতিবাচক কোনও বার্তা। এই দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন দোরিভাল জুনিয়র। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথম ম্যাচ খেলার আগে নতুন সেলেসাও কোচ রবিনহোকে নিয়ে বলেছেন, “জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আমি কিছু কথা বলতে পারি। প্রথমত আমি মনে করি, এখন সময়টা খুব নাজুক। রবিনহো আমার খেলোয়াড় ছিল ২০১০ সালে সান্তোসে, সে একজন চমৎকার মানুষ, পেশাদারও। দানিয়েলের (আলভেস) সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি, তবে তার ফুটবলের গল্প আমরা জানি। সবকিছু বলার জন্য এটা কঠিন সময়।”
ধর্ষন মামলায় রবিনহোকে ৯ বছরের জেল দিয়েছে ইতালির আদালত। স্প্যানিশ আদালত ধর্ষণের অপরাধে দানিয়েল আলভেসকেও পাঠিয়েছে জেলে। দুই ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে অমন ইতিবাচক মন্তব্যের পর সেলেসাও কোচ পড়েছেন বিপদে। খোদ তার দেশেই শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা।
ব্রাজিল মহিলা দলের মিডফিল্ডার অ্যারি বোরহেস বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, “এটা অবিশ্বাস্য।” খেপে আগুন ব্রাজিলের পালমেইরাস ক্লাবের সভাপতি লেইলা পাহেইরা। তিনি এখন ব্রাজিলের ইংল্যান্ড সফরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার দলের কোচের কথা শুনে এই ভদ্রমহিলা চুপ করে থাকতে পারেননি, কোচের ওই কথাগুলোকে নিজের মুখে চপটেঘাত হিসাবেই দেখছেন, “কেউ কিছু বলছে না, তবে প্রতিনিধি দলের প্রধান ও নারী হিসাবে আমার একটা অবস্থান নিতেই হবে রবিনহো ও আলভেসের মামলার ব্যাপারে। এটা আমাদের সবার মুখে, বিশেষ করে নারীদের মুখে বড় এক চপটেঘাত।”
ওই বক্তব্যের পর দোরিভাল অবশ্য ভুক্তভোগীদেরও সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “প্রথমত আমি জড়িতদের পরিবারের কথা চিন্তা করি। বিশেষ করে ভুক্তভোগীদের কথা। এই ব্যাপারগুলো আমাদের দেশ ও সারা বিশ্বে ঘটে যা খুব একটা সামনে আসে না। তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।”
কিন্তু এসব নিয়ে টিভি ধারাভাষ্যকার নাতালিয়া লারা যেমন লেইলাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তেমনি দোরিভালের সমালোচনা করেছেন, “দোরিভাল জুনিয়েরর বক্তব্য আমাকে আঘাত করেছে। এখানে কোনও ‘যদি’ নেই, রবিনহোকে ৯ বছর কারাগারবন্দী রাখার সাজা দেওয়া হয়েছে। সে দোষী প্রমাণিত হয়েছে।“
