সাম্বার সেই ছন্দ নেই ব্রাজিলের ফুটবলে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও তারা নেমে গিয়েছিল ছয় নম্বরে। আগের ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে অস্বস্তিটা কাটিয়ে ব্রাজিল এখন চারে। বুধবার (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) প্যারাগুয়েকে হারালে বাছাইপর্বে নিজের অবস্থানটা দৃঢ় হবে আরও।
নতুন কোচ দোরিভাল জুনিয়র দলকে খেলাচ্ছেন ফল নির্ভর খেলা। এজন্য তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯ ম্যাচে ব্রাজিল হারেনি একটিতেও (কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে হারটা ছিল টাইব্রেকারে, যা অফিসিয়ালি ড্র)।
এই ৯ ম্যাচে আক্রমণভাগের ত্রয়ী ছিল ৫ রকম! প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বদল আসছে আরও একবার। এবার আক্রমণভাগে থাকবেন রিয়ালের তিন ত্রয়ী ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগা ও এনদ্রিক। বেঞ্চে থাকবেন আগের ম্যাচ খেলা লুইস হেনরিক।
দোরিভাল যুগে আক্রমণের ত্রয়ী
ইংল্যান্ড ০: ১ ব্রাজিল- রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
স্পেন ৩ : ৩ ব্রাজিল- রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
মেক্সিকো ২ : ৩ : ব্রাজিল-সাভিনহো,মার্তিনেল্লি, এভানিলসন।
যুক্তরাষ্ট্র ১ : ১ ব্রাজিল- রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
ব্রাজিল ০ : ০ কোস্টারিকা- রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
প্যারাগুয়ে ১ : ৪ ব্রাজিল-সাভিনহো, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
ব্রাজিল ১ : ১ কলম্বিয়া- রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগো।
উরুগুয়ে ০ : ০ ব্রাজিল-রাফিনিয়া, রোদ্রিগা, এনদ্রিক।
ব্রাজিল ১ : ০ ইকুয়েডর-হেনরিক, ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগা।
দোরিভালের যুগে আক্রমণে ত্রয়ী হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার খেলেছেন রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস ও রোদ্রিগো। ৯ ম্যাচের ৫টিতেই ছিলেন তারা। এরপর কখনও ভিনিসিয়ুস তো কখনও রাফিনিয়ার নিষেধাজ্ঞায় বদলেছে এই আক্রমণভাগ। দোরিভালের সময়ে যৌথ সর্বোচ্চ ৩ গোল রোদ্রিগো আর এনদ্রিকের। এই দুজনের সঙ্গে ভিনিসিয়ুসকে রেখে প্রথমবার একাদশ সাজাতে চলেছেন দোরিভাল।
আগের ৯ ম্যাচের ৮টিতেই প্রথম একাদশে ছিলেন রোদ্রিগো। ভিনিসিয়ুস একাদশে ছিলেন সাত ম্যাচ আর এনদ্রিক একটিতে। রিয়ালে এখনও একাদশে একসঙ্গে না খেললেও জাতীয় দলে তারা সাম্বার নাচ তুলতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
এদিকে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসী দোরিভাল। তিনি বরং বাছাইপর্ব ছাপিয়ে চোখ রাখছেন ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে, ‘‘লিখে রাখতে পারেন ২০২৬ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলব আমরা। বিশ্বাস না হলে আমার কথা মিলিয়ে নেবেন দুই বছর পর। দল হিসেবে আমরা নিজেদের সেরাটা খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিপক্ষের বক্সে এখনো কিছু ঘাটতি রয়েছে তবে দল হিসেবে আমরা উন্নতি করছি।’’
এদিকে বিশ্বকাপের পর দল পূণর্গঠনে অযথা সময় নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক দানিলো। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এজন্য এক ধাপ পিছিয়ে থাকার কথা মেনে নিলেন দানিলো, ‘‘এই মুহূর্তে আমরা একধাপ পিছিয়ে আছি। আমাদের অনেক অস্থিরতা ছিল। নাম, কোচ, কৌশল, পরিকল্পনা, খেলোয়াড়-সবকিছুতে। এটা পরিষ্কার যে বিশ্বকাপের পর আমরা সময় হারিয়েছি, মানে আমরা একধাপ পিছিয়ে। তবে মার্চে দোরিভাল আসার পর আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’