সামনেই বিপিএলের ১১তম আসর। এত বছর পার করেও আসরটি কাঠামোগত ভাবে ঠিক দাঁড়িয়ে উঠতে পারেনি। শুরুতে বেশ আলোড়ন ফেললেও সময়ের সঙ্গে দেরিতে শুরু হওয়া পিএসএল, সিপিএলের পেছনে পড়ে গেছে বিপিএল। বিসিবির নেতৃত্বে পালা বদলের সঙ্গে বিপিএলের ভাগ্যের পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। রোববার বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন এবার বিপিএলে থাকবে নতুনত্ব।
নতুনত্ব কি কি জায়গায় থাকছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি বিসিবি। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান। রোববার সেই কাজগুলো প্রেজেন্টশন আকারে দেখানো হয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে।
সেই প্রেজেন্টশন দেখা ও বিপিএল নিয়ে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলের হারানো সম্মান ফেরানোর আশা ব্যক্ত করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, “দর্শক হিসেবে আমারও প্রথম দিনে বিপিএল নিয়ে খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু এটা দিন-দিন পড়ে গেছে। এবার আমরা নতুন শুরু করতে চাই। বিপিএলকে টুর্নামেন্ট হিসেবে সফল করতে চাই।”
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কি কি পরামর্শ নিয়েছেন সে ব্যাপারে অসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, “টুর্নামেন্টের সঙ্গে সমর্থকদের আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আইডিয়া, লিজেন্ডারি ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে আনা, জিরো ওয়েস্ট কর্নার এমন কিছু আয়োজন থাকবে। সেগুলো আমরা আবারও আলোচনা করবো। তো আপনারা দেখবেন ভালো কিছু আসবে।”
বিপিএলকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে নিজে থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানালেন আসিফ মাহমুদ, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যিনি অলিম্পিকের মতো ইভেন্ট ডিজাইনে ইনপুট দেন, তার কাছ থেকে যদি আমরা কিছু পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা নিতে না পারি তাহলে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। তাই স্যারকে অনুরোধ করার পর উনি আমাদের সময় দিয়েছেন এবং বিপিএলকে আন্তর্জাতিক ভাবে কীভাবে উপস্থাপন করা যায় সে নিয়ে উনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেসব নিয়েই বিসিবি কাজ করেছে। আশাকরি এবার ভালো একটা টুর্নামেন্ট দেখতে পাবেন আপনারা।”
বিপিএলকে সামনে রেখে মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজও করা হবে। দর্শক বান্ধব গ্যালারি ও খাবার ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে রাখার ব্যাপারেও জোড় দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলেও সব কথার শেষ কথা মাঠের খেলা। টুর্নামেন্টের বাইরের চাকচিক্য ভালো থাকলেও মাঠের ক্রিকেট ভালো না হলে দর্শকমন ভরবে কি!