Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
[publishpress_authors_box]

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাস কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সকাল সন্ধ্যাকে এ কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তার জামিনের মেয়াদও এই দিন পর্যন্তই নির্ধারিত।

আপিল শুনানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ড. ইউনূসের জামিন আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কিছু বলব না। জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, না হলে কী হবে; তা আমি বলবো না। তারা কোন পদক্ষেপ নেবেন সেটি তাদের বিষয়। তবে আমরা কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আপিল শুনানির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।”

শুনানিতে নিজেদের পক্ষের যুক্তি তুলে ধরা হবে জানিয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারিক আদালতে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের চারজন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। অনেক তথ্য দাখিল করা হয়েছিল।

“এই সব সাক্ষ্য সাবুদ দিয়ে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করব। তারা যে যুক্তি উপস্থাপন করবেন তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আমরাও প্রস্তুত আছি।”

আপলি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চাইবেন জানিয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) আপিল শুনানি হবে কিনা তা জানি না। তার কারণ এখনও হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি আসেনি। বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে আংশিক পরিবর্তন করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এখন কী রায় দিয়েছেন তা লিখিত কপি না পেলে তো বুঝব না। সেজন্য হাইকোর্টের রায় দেখেই আপিল শুনানি শুরু হতে পারে।”

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এই মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ কারাদন্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।

ড. ইউনূস ছাড়া বাকী তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

একটি ধারা, যাতে কারাবাস এড়ালেন ড. ইউনূস

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করে জামিন প্রার্থনা করেন আসামিরা। তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে সাজার দণ্ড স্থগিত করে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এ অবস্থায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে পরের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর এই রুলের উপর দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ রায় দেয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাস কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের করা আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে আসামিদের বিদেশে যেতে হলে তা আদালতকে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত