Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

ভোটে আওয়ামী লীগ থাকবে? যা বললেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
[publishpress_authors_box]

অভ্যুত্থানকারী তরুণরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে এলেও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সবার ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সবাই মিলে যা ঠিক করবে, তাই করবেন তারা।

সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধানের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস।

নিজের কোনও রাজনৈতিক অভিলাষ নেই জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি রাজনীতি করি না।”

দেড় যুগ আগে রাজনৈতিক দল গঠনে নামার পর পিছু হটলেও গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারীদের আহ্বানে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ইউনূস।

অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে নানা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর এই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

জুলাই আন্দোলন দমনে খড়গহস্ত আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যায়িত করে দলটিকে বাংলাদেশে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে আসছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ড. ইউনূস নিজেও শেখ হাসিনার গত দেড় দশকের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে আসছেন।

অভ্যুত্থানকারী তরুণরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুললেও বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলের সায় মিলছে না।

এই অবস্থায় ড. ইউনূসের অবস্থান বিবিসি বাংলা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওই যে ঐকমত্য। আমরা বরাবরই ফিরে যাচ্ছি ঐকমত্যে। সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করব।”

আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে বা রাজনীতি করবে কি না বা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না- এই প্রশ্নে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, “আমি অত ডিটেইলসে যাচ্ছি না। আমার বরাবরই পজিশন হলো যে আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে।

“কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনও উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।”

জুলাই অভ্যুত্থান দমনে ‘গণহত্যা’ চালানোয় শেখ হাসিনার বিচারের উদ্যোেগ এরই মধ্যে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।

তিনি বলেন, “একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এটাকে (দেশটাকে) আনসেটেল (অস্থিতিশীল) করার জন্য।”

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান সম্প্রতি হানাহানিতে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন।   

সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে ড. ইউনূসের বক্তব্য আসে।

‘সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি’

সেনাবাহিনী থেকে কি আপনি সহযোগিতা পাচ্ছেন- এই প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সর্বাত্মকভাবে।”। প্রথম থেকে যা ছিল, এখনও তাই- এই প্রশ্নেও তিনি বলেন, “এবসুলেটলি।”

সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত- এই প্রশ্রে উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, “এটা ওনার বক্তব্য উনি বলবেন। আমার ওনাকে এনডোর্স করা না করার তো বিষয় না।”

তবে ‘থ্রেট’ যেটুকু আছে, তা আওয়ামী লীগের দিক থেকে বলে মনে করেন তিনি।

“সবসময় থ্রেট আছেই। প্রতি ক্ষণেই আছে, প্রতি জায়গাতেই আছে। কাজেই এটাতো সবসময় থাকবে।”

হুমকিটা কি আওয়ামী লীগ থেকে- প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা তো অবভিয়াস। তারা মাঝে মাঝেই ঘোষণা করছে। বক্তৃতা দিচ্ছে। এড্রেস করছে। আপনি-আমরা সবাই শুনছি। মানুষ উত্তেজিত হচ্ছে।

“কর্মসূচি দিচ্ছে- হরতাল করো, অমুক করো। মানুষ কীভাবে নেবে এটাকে বলেন? এটা কি মিষ্টি মুখে চলে যাবে সব?”

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ থাকার কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যখনই দরকার হয়, আমি তো তার কাছে যাই।”

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও অবনতির কথা মানতে নারাজ ড. ইউনূস। সাক্ষাৎকারে তিনি পাল্টা প্রশ্নে বলেন, “অবনতিটা কোন পয়েন্ট থেকে হয়েছে? এটা বলতে হবে তো আমাকে। আপনি বলছেন অবনতি হয়েছে। কোন রেফারেন্স পয়েন্ট থেকে অবনতিটা হয়েছে? সেটা না দিলে তো আমরা বুঝতে পারব না।”

দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে পরিস্থিতি যেমন পরিস্থিতি ছিল, তা বদলাতে পেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুইদিন আগে তারা এদেরকে গুলি করেছে। কাজেই মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতে করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়মশৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি।”

‘সবার ঐক্য আছে’

দিন যত গড়াচ্ছে, অভ্যুত্থানকারী তরুণদের সঙ্গে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ বাড়ছে। অভ্যুত্থানের সময়কার ঐক্য এখন আর নেই বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সেই ঐক্যে ফাটল ধরেছে কি না- প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, “কেউ আমাকে অসমর্থন করছে, এরকম কোনও খবর তো আমি পাই নাই এখনও। সবাই সমর্থন করছে, সবাই চাচ্ছে যে সুন্দরভাবে দেশ চলুক, তাদের সবার মধ্যে ঐক্য আছে। রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। কিন্তু তার মানে এই নয়, ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরেছে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয়ের যে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “জনমনে… ওনার মনে সন্দেহ হয়েছে কি না, এটা হলো কথা।

আমরা যখন বসি, কেউতো বলে নাই যে সন্দেহ হচ্ছে। সে বলছে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।”

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা রাজনৈতিক দল গঠন করলেও তাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “সরকার কোনও সহায়তা করে না। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল সরকারের ভেতরে। যিনি রাজনীতি করতে মন স্থির করেছেন, তিনি ইস্তফা দিয়ে সরকার থেকে চলে গেছেন। উনি প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করবেন, কার বাধা দেওয়ার কী আছে?”

নির্বাচন-সংস্কার

সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “একটা সংস্কার দরকার আমাদের। কারণ যে কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে, ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পেরেছে, ১৬ বছর ধরে চলতে পেরেছে, আমরা কিছুই করতে পারি নাই।

“তিন-তিনটা নির্বাচন হয়ে গেলো, ভোটারের কোনো দেখা নাই। এই যে অসংখ্য রকমের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা, মিসরুল ইত্যাদি – সেখান থেকে আমরা কীভাবে টেনে বের করে আনব। টেনে বের করে আনতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো করতে হবে।”

তবে নানা কারণে সেই কাজগুলো পিছিয়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেন ড. ইউনূস।

“আমরা চেয়েছিলাম যে এখনই আমরা সংলাপটা শুরু করবো। এটাও পারি নাই। সংলাপ শুরু হতে হতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে। যেগুলো সময়মতো আমরা করতে চেয়েছি, ওই সময়ে করতে পারিনি।”

নির্বাচনটা কি এবছরের মধ্যেই হচ্ছে- প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা তো সেটা ঘোষণা করে দিয়েছি। আবার নতুন করে বলার তো কিছু নাই।”

এই অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার কতটা করতে পারবেন- জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সেটা আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা একেবারে প্রত্যেকটা সুপারিশ দেব। সুপারিশের সঙ্গে কথা থাকবে যে, আপনার রাজনৈতিক দল এটা কি সমর্থন করে? এটাতে রাজি আছেন? রাজি থাকলে বলেন, রাজি না থাকলে বলেন।

“সবকিছু মিলালে আমরা এটা ঠিক করবো কোন সুপারিশে সবাই একমত হয়েছে। সেটা আলাদা করব যে এটাতে সবাই একমত হয়েছে। এরকম যে সমস্ত সুপারিশে তারা একমত হয়েছে, সেগুলো আমরা আলাদা একটা কাগজে নিয়ে আসব এটাকে আমরা বলব জুলাই চার্টার।”

“জুলাই চার্টারের মতোই আমরা চলব। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচনটা হবে। নির্বাচনের আগে যেটা বলেছেন সেটা নির্বাচনের আগে হবে, যেটা নির্বাচনের পরে বলেছেন সেটা নির্বাচনের পরে হবে,” বলেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক

অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা গেলেও দুই দেশের সম্পর্ক এখন ‘খুবই ভালো’ বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারব না।

“তবে মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।”

ভারত সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার মোদীর সঙ্গে আমার প্রথম সপ্তাহেই কথাবার্তা হয়ে গেছে।”

ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ কি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা মূলত ছিল স্টারলিংক নিয়ে। এটা ব্যবসায়িক একটা সম্পর্কের বিষয় ছিল। সেবিষয়ে আমরা আলাপ করছি যে স্টারলিংকের কানেকশনটা আমরা নিতে চাই।”

‘রাজনীতি করি না’

এক সময় রাজনীতির মাঠে নামতে গিয়ে সরে গিয়েও এখন সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “প্রথম কথা, আমি রাজনৈতিক দল গঠন করি নাই। গঠন করার কথা বলেছিলাম। এবং ১০ সপ্তাহ যাবৎ এই কথা জারি ছিল। ১০ সপ্তাহ পর আমি বলেছি- না, আমি রাজনীতিতে যাব না। আমি বলেছি যে পলিটিক্স ইজ নট মাই কাপ অফ টি। এবং ওটা ওখানেই সমাপ্ত, এরপর আমাকে রাজনীতির কাছে কেউ টানতে পারেনি।

“সবাই চেষ্টা করেছে দেশের নেতৃত্ব নেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী হন। সবাই চেষ্টা করেছে। আমি ওটা চাই নাই। আমি বলেছি, ওই চ্যাপ্টার শেষ। এই ১০ সপ্তাহ- দ্যাটস এনাফ। কাজেই ওইভাবেই আছি এখন। এখানে আমি রাজনীতিতে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নাই। রাজনীতি করিও না।”

এখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নেননি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো এই পদে আসতেও চাই নাই। আমাকে অনুরোধ করেছে, বহুবারই করেছে। তারপর আমি শেষ পর্যন্ত সম্মত হয়েছি। সেটার দায়িত্ব নিয়েছি। রাজনৈতিক পদ যদি হয়ে থাকে, এটা বাই ডেফিনেশন। আমি রাজনীতি করি না।”

প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বগ্রহণ ব্যক্তিগত জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে- জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “আমি তো এখন ব্যক্তিগত জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছি। এখন তো আমার জীবন অন্য রকমের। বদ্ধ ঘরে কাজ করার মতো জীবন। আমার এদিকে ওদিকে কাজ করার সুযোগ নাই। যেটুকু করার খুবই সীমাবদ্ধভাবে আমাকে ফোকাসড ওয়েতে সেগুলো কাজ চলছে।”

আগের জীবনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “ওটার সঙ্গে এটার কোনও তুলনা করতে পারছি না আমি। ওটা আমি ফ্রি জীবন। যা ইচ্ছা তাই করছিলাম। এখন তো আর সেটা করা যাচ্ছে না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত