শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সকালে ড. ইউনূস পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে পৌঁছে সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন।
তিনি সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।
রংপুর সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এর আগে ফ্রান্স থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছার পর আবু সাঈদকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে আমি আবু সাঈদকে স্মরণ করছি, যার ছবি প্রত্যেক বাংলাদেশির স্মৃতিতে খোদাই করা আছে। কেউ এটি ভুলতে পারে না। কি অবিশ্বাস্যভাবে সাহসী যুবক ছিলেন তিনি! তিনি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে যান এবং তারপর থেকে আন্দোলনরত তরুণ-তরুণীরা হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারতে পার মার, আমরা এখানে আছি।”
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ আন্দোলনের সময় সামনে থেকে প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। গত ১৬ জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাঈদ। পরদিন পীরগঞ্জ উপজেলায় তাকে দাফন করা হয়। বাসস।