Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ৪ জুলাই পর্যন্ত

আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে কলকারখানা পরিদর্শক অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী।

এর আগে এদিন সকাল ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যান শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আদেশ দেয় আদালত।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ড. ইউনূসসহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে শ্রম আইনের ৩০৩ ও ৩০৭ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পরই জামিন আবেদন করা হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেয় বিচারক। এ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন তারা।

গত ২৮ জানুয়ারি ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেয়। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দণ্ড স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এ আবেদনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। চূড়ান্ত শুনানির পর গত ১৮ মার্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় উচ্চ আদালত।

এর আগে গত ৩ মার্চ জামিনের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে তাদের নিয়মিত জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আপিল শুনানি মুলতবি চাওয়া হয়। বাদী পক্ষের আপত্তি না থাকায় গত ১৬ এপ্রিল আদালত শুনানি মুলতবি করে ২৩ মে পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আবেদন করা হলে আদালত শুনানি নিয়ে আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন এই মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি।

আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত