জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩ সেনা নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটার দিকে হামলাটি হয়, জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হামলার পরই বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, “আমরা এখনও হামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে আমরা জানি এটি সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র দলগুলোর কাজ। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে। সেটা কখন এবং কীভাবে তা আমরা নির্ধারণ করবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় কমপক্ষে ৩৪ সেনার মস্তিস্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ মুবায়দিন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানান, হামলাটি সিরিয়ার আল-তাফস ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক (আইআরআই) জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তের একটি সহ মোট তিনটি ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে।
আর ইরানের পক্ষ থেকে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, এই অঞ্চলের প্রতিরোধগোষ্ঠী শিশু-হত্যাকারী জায়নবাদী শাসনের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা ইরানের নির্দেশনা মেনে চলে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই গোষ্ঠীগুলো তাদের নিজস্ব নীতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয়।” মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নষ্ট করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই ইরানকে দোষারোপ করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বরে জানান, গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটিগুলোতে কমপক্ষে ৯৭ বার হামলা করা হয়। গত মাসে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩ সেনা আহত হলে, ওয়াশিংটন ইরান-সংশ্লিষ্ট দলগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা