Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

মণ্ডপে মণ্ডপে থাকবে আইপি ক্যামেরা

apurba jahangir
[publishpress_authors_box]

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে দেশের পূজামণ্ডপগুলো একাধিক আইপি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হবে।

মঙ্গলবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও  উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

তবে ঠিক কতগুলো ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিস ও থানা থেকে তত্ত্ববধায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাহী আদেশে দুর্গাপূজার ছুটি ১ দিন বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব, “হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দেওয়া সিকিউরিটি কনসার্ন (নিরাপত্তা উদ্বেগ) নিয়ে সরকার বিশেষভাবে কাজ করছে। মণ্ডপগুলোতে আইপি ক্যামেরা বসিয়ে ইউএনও অফিস ও থানা থেকে মনিটরিং করা হবে।”

সার্বক্ষণিক জরুরি সেবা দিতে বিশেষ টিম কাজ করবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া পুলিশ, র‍্যাবের টহল দল ও গোয়েন্দা সংস্থার টিম কাজ করবে।

সারাদেশে কতগুলো আইপি ক্যামেরা ব্যবহার হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সংখ্যা আমাদের জানা নেই। সারাদেশে সব মণ্ডপে একাধিক আইপি ক্যামেরা থাকবে।”

নিরাপত্তাহীনতার কারণে এবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। এরপর তাদেরকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অনুরোধ জানান রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। অনুরোধের পর সিদ্ধান্ত জানাতে কিছুটা সময় চেয়ে নেয় বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ।

সেই প্রসঙ্গে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, “কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের উদ্বেগের কথাগুলো জেনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি নিয়েও তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেকে আপসেট (হতাশ)। সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা অধিকার থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশিষ্ট একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।”

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মৃতি ধরে রাখতে গত ১২ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। মূলত আন্দোলনে নিহতদের স্মৃতি ধরে রাখা, গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করাই ফাউন্ডেশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য। 

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের হটলাইন চালু হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব। ২৪ ঘণ্টা ১৬০০০ হটলাইন নাম্বারটি চালু থাকবে। সেখানে এ বিষয়ক যেকোনও ধরণের সহায়তা ও তথ্য সেবা পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

এসময় গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারিয়ে দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে অবগত নই। অবগত হলে জানাব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত