দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির লক্ষ্যে ‘ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল বাণিজ্য নীতিমালা ২০২৪’ এর খসড়া প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এই নীতিমালা অনুযায়ী ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সাধারণ রপ্তানির মতো আর্থিক প্রণোদনা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ডিমড এক্সপোর্টকেও প্রণোদনার আওতায় আনা যাবে বলে নীতিমালার খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল বাণিজ্য সেল থেকে এ-সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া সর্বসাধারণের মতামতের জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই খসড়ার ওপর মতামত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
খসড়ায় আরও বলা হয়, ডিজিটাল বাণিজ্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রচলন করা হবে। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমসকে দেশের প্রচলিত পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করা হবে।
ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল বাণিজ্যের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রেও এস্ক্রো সার্ভিস চালু থাকবে।
তাছাড়া বিদেশি ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান দেশে অনলাইনে খুচরা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকেও ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ডিবিআইডি) নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছে ওই খসড়ায়।
দেশের অভ্যন্তরে ডেলিভারির উদ্দেশ্যে পণ্যের বাল্ক আমদানি করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে আমদানি নীতি আদেশ এবং বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত আইনের বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে আমদানির পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে হবে।
দেশে প্রচলিত ই-কমার্স ব্যবসার অন্যান্য সাধারণ নিয়ম যেমন রিফান্ড পলিসি, বিরোধ নিষ্পত্তি, ব্র্যান্ডিং, ডিসকাউন্ট, তথ্য সংরক্ষণসহ প্রায় সব নিয়মাবলী ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই ডিজিটাল বাণিজ্যে ওয়ারহাউজসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদানেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই নীতিমালা খসড়ায়।
ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি এবং তার বিপরীতে ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট সহজ করা এবং এ-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতা দূর করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ইক্যাব, বেসিসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে।