Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
উপজেলা ভোট

স্বতন্ত্রদের সমর্থন স্বাক্ষর বাতিল চায় কমিশন

নির্বাচন কমিশন
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য বিধিমালায় সংশোধনী আনতে খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।

উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ২৫০ জন ভোটারের যে সমর্থনসূচক স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়, খসড়ায় তা বাতিলের প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

নির্বাচন পরিচালনা ও নির্বাচনের আইন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ সংশোধন ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা -২০১৬ সংশোধন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সভা শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি অংশগ্রহণকারীরা।

তবে এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে জানান, বর্তমান বিধান অনুযায়ী উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দিতে হয়। এটি পরিবর্তনের কথা ভাবছে কমিশন। সভায় সে বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।

পরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সংসদ নির্বাচনের চেয়ে সহজ

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন স্বাক্ষর বাতিল করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

খসড়া প্রস্তাবে এই বিষয়টি আছে কিনা সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হয়তো সচিবলায় কোথাও থেকে ফিডব্যাক পেয়েছে, স্বাক্ষরের বিষয়টা না রাখাই ভালো। আবার অনেকে বলছেন না রাখলে সমস্যা হবে। এ বিষয়ে মিশ্র মতামত আছে। আমাদের কাছে এলে ভালো মন্দ দিক বিবেচনা করব। আলোচনা না করে কিছু বলতে পারব না।”

কমিশন কোনও আইন সংশেোধন করতে চাচ্ছে না বলেও এই নির্বাচন কমিশনার।

আইন সংশোধনের কোনও প্রস্তাব সচিবলায়কে দেওয়া হয়নি জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, “আচরণ বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসঙ্গতি আছে। কিছু জায়গায় অস্পষ্টতা আছে। যারা এসব নিয়ম প্রয়োগ করতে যান তারা এসব অসঙ্গতির কথা বলেছেন। সেই ফিডব্যাকগুলোকে পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে।”

আচরণবিধিমালা নির্বাচন কমিশনই সংশোধন করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবল মন্ত্রণালয়ের একটা ভেটিং লাগে। ভেটিংয়ের পর কমিশনই সংশোধনী জারি করতে পারে।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, “সেটা আমরা বলতে পারি না। এখনও তফসিল ঘোষণা হয়নি। বিএনপি আসবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক।”

উপজেলা নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে সুষ্ঠু হবে বলেও নিজের প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ ভোটের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে কমিশন। আগামী ৪ মে থেকে শুরু করে চার ধাপে এই ভোট শেষ করতে চায় সাংবিধানিক এ সংস্থা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৫ মে শেষ হবে উপজেলা পরিষদ ভোটের কর্মযজ্ঞ।

দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ ভোট শুরু হয়ে পাঁচ ধাপে জুনে গিয়ে শেষ হয়।

আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত