গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান আছে।
নির্ধারিত সেই সময়ে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২১টি আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। বাকি ২৩টি দল নির্ধারিত সময়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিয়ে সময় আবেদন করেছে। এর মধ্যে কোনও কোনও দল এক মাস, কোনও কোনও দল দুই মাস সময় চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ জুলাই বুধবার নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অডিট সংক্রান্ত তালিকা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের। কমিশন চাইলে সময় বাড়াতে পারে।
আরপিওতে কোনও দল পর পর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
যেসব দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে তাদের সময় বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সময় দেওয়ার বিষয়টি কমিশনের সিদ্ধান্ত। আমার ফাইল কমিশনে উঠাব। কমিশন চাইলে সময় বাড়াবে। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।”
হিসাব দিয়েছে যে ২১ দল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, ইনসানিয়াত বিপ্লব, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় পার্টি (জেপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাকের পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
সময় চেয়েছে যে ২৩ দল
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণফ্রন্ট, গণফোরাম, বাংলদেশ মুসলীম লীগ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।