Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

ভোটের হার বাড়লে খুশি ইসি, না বাড়লেও উদ্বিগ্ন নয়

ভোটার খরায় ভুগেছে বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটার খরায় ভুগেছে বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র
[publishpress_authors_box]

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার বাড়লে খুশি হবে নির্বাচন কমিশন, তবে সেটি না হলে উদ্বিগ্নও হবে না সাংবিধানিক সংস্থাটি।

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণের আগের দিন এমন কথাই বললেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

সোমবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মো. আলমগীর বলেন, “ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি, কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”

মঙ্গলবারের আবহাওয়া ও প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপর ভোটের হার নির্ভর করছে বলে মনে করেন এই কমিশনার।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।”

এই কমিশনার বলেন, ভোটের হার যেমনই হোক তাতে কমিশন সন্তুষ্ট। কারণ ভোটের হারের কোনও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা নেই।

“ফ্রান্সের নির্বাচনে যেমন বলা আছে, এত শতাংশ ভোট না পড়লে আবার নির্বাচন হবে। তুরস্কে আছে, পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে এরকম। আমাদের এরকম আইন নেই। তাই যেকোনো হার হলেই আমরা খুশি।”

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মঙ্গলবার ভোট হবে ১৫৬ উপজেলায়।

এই দফায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬০৩ প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন ভোটের মাঠে রয়েছেন।

এবার চার ধাপে দেশের ৪৯৫ উপজেলায় নির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে গত ৮ মে বুধবার ভোটগ্রহণ হয়েছে ১৩৯ উপজেলায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধাপে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। যার পরই মূলত ভোট পড়ার হার কমে যাওয়া নিয়ে আলোচনা উঠেছে।

ভোটের হার দিন দিন নিচে নামছে, নির্বাচন কমিশন দায় দিচ্ছে দলগুলোকে। এক্ষেত্রে ইসির কোনও দায় আছে কিনা তা জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে মো. আলমগীর বলেন, “আমাদের প্রথমেই দায় দিতে হবে ভারতের ওপর। কেননা, সেখানে সব দল অংশ নিচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই, কোনও বিতর্কও নেই। কিন্তু সেখানেও ৬০ ভাগ ভোট পড়ছে। তাহলে কী দেশটির নির্বাচন কমিশন দায়ী। যদি বলেন ভারতে নির্বাচন কমিশন দায়ী, তাহলে আমরাও দায়ী। তাদের দায়ী না করলে আমরাও দায়ী না।”

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

ভারত আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একই রকম কিনা, সে প্রশ্ন রাখলে জবাবে কমিশনার বলেন, “তাদের গণতন্ত্র, আমাদের গণতন্ত্র একই। সংবিধানও অনেকটা একই রকম। ভারতে যে কারণে ভোটের হার কমে যাচ্ছে আমাদের এখানেও একই কারণ। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতেই একই রকম। এটা কেন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়।”

ভোটের হার কমে যাওয়ার জন্য কমিশন বা অন্য কেউ দায়ী নয় বলেও মত তার। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এর কারণ খুঁজতে কমিশন কোনও পর্যালোচনা কিংবা গবেষণার কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, “এটা ইসির কাজ না। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যারা স্থানীয় সরকার নিয়ে কাজ করে, তারা গবেষণা করে প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেবে। আমাদের গবেষণা করার দক্ষতা বা সক্ষমতা নেই। আমরা গবেষণা করলে সেই গবেষণা তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না। গবেষণা করতে হবে তৃতীয় পক্ষকে।”

ভোট বর্জনে বিএনপির লিফলেট বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রক্রিয়ার অংশ। যে কোনো দল ভোটে অংশ নিতে পারে, বিরত থাকতে পারে, ভোটারদেরও আহ্বান করতে পারে। তবে সেটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। সহিংস কর্মকাণ্ড করলে সেটা তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা প্রচার করলে কেউ বাধা দিতে পারবে না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত