সরকারের মোট কত গাড়ি আছে, সেগুলোর মধ্যে কতগুলো নষ্ট বা বসে আছে- সে হিসাব বের করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, নষ্ট হওয়া গাড়ি মেরামতের পাশাপাশি প্রকল্প শেষে বসে থাকা গাড়িগুলোও চিহ্নিত করে অন্য কাজে লাগানো হবে, যাতে সরকারের নতুন গাড়ি কিনতে না হয়। সরকারের গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম বানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিগগির বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সকালে রাজধানীর তেজগাঁয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। পরে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)’ শীর্ষক প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে হিসাব করা হোক- সরকারি খাতে আসলে সারা দেশে সব উপজেলা থেকে শুরু করে কত গাড়ি আছে। সেই গাড়িগুলা কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে, কতদিন এগুলা টিকে থাকে।
“যেই গাড়িগুলোর ব্যবহার শেষ হয়ে গেছে, প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে- সেগুলো ওখানে বসে বসে নষ্ট না হওয়ার থেকে বরং অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে, যাতে নতুন গাড়ি না কেনা হয়।”
তিনি বলেন, “সরকারের যে এতো গাড়ি আছে। প্রত্যেক প্রকল্পের মধ্যেই অনেকগুলো গাড়ি থাকে। এগুলো যায় কোথায় পরে? অনেকে বলে যে,এগুলো প্রকল্প হয়ে গেলে সেখানে বাড়তি হিসেবে থেকে যায়। আবার অন্য মন্ত্রণালয় নিয়ে নেয়।
“একেক কর্মকর্তার তিন-চারটা করে জিপ থাকে। এই গাড়িগুলো আবার বেশি দিন টেকে না। নিজের গাড়ি হলে অনেক দিন টেকে। কিন্তু সরকারি গাড়িগুলো টেকে না কেন- সেটাও আরেকটা সমস্যা।”
অনুষ্ঠানে সরকারি গাড়ির হিসাব কবে থেকে শুরু হবে, কার নেতৃত্বে হবে- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “এটা খুব শিগগির। ফাওজুল কবীর খান আছেন। উনি তথ্য জোগাড় করে আবার আমাদের কাছে উপস্থাপন করবেন।”
