দেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দিবে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। পাশাপাশি তারা সরকারকে স্বল্পমেয়াদে কিছু পরিকল্পনা দিতে চায়, যেন আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে ফলাফল দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান কমিটির প্রধান ড. কে এ এস মুর্শিদ। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, “আমরা স্বল্পমেয়াদে সরকারকে পরিকল্পনা দেব, যেন আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে ফলাফল দেখা যায়।”
নতুন পরিকল্পনার ধরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিবর্তন কিংবা রিপ্লেস করা নয়। এটা স্বতন্ত্র পরিকল্পনা হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়েও আমরা পরামর্শ দেব।”
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের লক্ষ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর ১২ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদকে।
গঠিত হওয়ার পর ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈঠকে বসে টাস্কফোর্স। বৈঠকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কে এ এস মুর্শিদ বলেন, “আমরা চেষ্টা করব দেশের অর্থনীতি এখন যে জায়গায় আছে, সেখান থেকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার।” অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কৃষি, শিল্প উৎপাদন, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টার নির্দেশনায় নতুন নীতি কৌশল গ্রহণ করা হবে জানিয়ে টাস্কফোর্স প্রধান আরও বলেন, “তিনি আমাদের কাজের পরিধি, কৌশল ও গুরুত্বের জায়গাগুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। আগামী বৈঠক থেকে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কাজ শুরু করব।”
সুশাসনের যেসব স্থানে ঘাটতি আছে; সেগুলো তুলে ধরে লিকেজ বন্ধের পরিকল্পনা দিতে কাজ করবে এই টাস্কফোর্স। কে এ এস মুর্শিদ বলেন, “হয়তো সবকিছু আমরা করতে পারব না। তবে অর্থনীতির যেসব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করব।”
