শুল্ক অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগের দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করতে চেয়ে মিলমালিকদের ঘোষণার পর তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, “সয়াবিনের আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।” তবে এর দুই দিনের মাথায় তিনি নতুন দাম ঘোষণা দিলেন।
আগের অবস্থান বদলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।
সেখানে বলা হয়, ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৪৯ টাকা। এছাড়া সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ছিল ৮০০ টাকা, তা ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত এসআরওতে (বিধি-বিধান) ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল।
শুল্ক অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৫ এপ্রিলের পর ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তবে তাতে আপত্তি তুলে গত ১৬ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির ‘সুযোগ নেই’ বলে মন্তব্য করেন।
কিন্তু দুই দিন পরই প্রতিমন্ত্রী নিজের অবস্থানে পরিবর্তন এনে নতুন দাম ঘোষণা করলেন।
তিনি বলেন, “সুপার পাম অয়েলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না, এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।
“এটা ইমিডিয়েট ইফেক্ট হবে, কারণ মিল গেট থেকে মাল বের করার সময় ভ্যাট দিয়ে বের করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আপনাদের প্রশ্ন আছে, দাম কমার সময় দেরিতে কমে কেন, আর বাড়ার সময় সঙ্গে সঙ্গে হয় কেন? কারণ মিল গেট থেকে ডিউটি দিয়ে এখন পণ্যটা সরবরাহ করতে হবে।
“আমি যে সময় দেব, সেই সুযোগ নেই আমার কাছে। আর কমার সময় আমদানি করে মিল গেটে এনে প্রসেস করতে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগে।”