মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে এবার ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পাম) ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কমিয়ে আনতে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।
সবমিলে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ২০ শতাংশ কর মওকুফের ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় কার্যকর থাকবে।
এর আগে চিনির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর আমদানি পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় এনবিআর।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকা। আর প্রতিকেজি পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত দুটি প্রজ্ঞাপনে ভোজ্যতেলের ওপর কর ছাড়ের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিশোধিত সয়াবিন ও পরিশোধিত পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে প্রযোজ্য সমুদয় ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহিত দেওয়া হলো।
অপর প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন বা পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
অর্থাৎ পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল বিক্রয় পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে তার পুরোটাই মওকুফ করা হয়েছে। আর সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর আমাদনি পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে সেখান থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনবিআরের ৭ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অপরিশোধিত ও পরিশোধিত উভয় প্রকার চিনি আমাদানির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এই শুল্ক ছাড়ের ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির শুল্ক ১১ দশমিক ১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির শুল্ক ১৪ দশমিক ২৬ টাকা কমবে।