সরকারি হিসেবে এখনও ঈদের ছুটি শুরু না হলেও এরই মধ্যে কর্মস্থল ছাড়তে শুরু করেছেন দেশের সাধারণ মানুষ। তবে সবার জন্য এই ছুটি নয়। বিশেষ করে যারা, স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের একটি অংশকে ঈদ করতে হবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঈদের ছুটিতে থাকবেন কর্মস্থলে।
ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়। কোরবানির ঈদের পর হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের একটি বড় অংশ থাকে পশু জবাইসহ এ-সংক্রান্ত নানা কাজে আহত।
ছুটির সময়ে এসব মানুষকে সেবা দিতে দায়িত্ব ভাগ করে নেন চিকিৎসকসহ অন্যরা। বিশেষ করে ভিন্ন ধম্বাবলম্বীরা রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করেন, মুসলমান চিকিৎসকরাও থাকেন ‘অন কলে’।
বন্ধের সময় হাসপাতালগুলোয় কীভাবে চিকিৎসাসেবা চলবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হাসান মো. মঈনুল আহসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, এই ছুটিতে কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি দেওয়া হবে। তবে এখানে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন।
বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনরা বিভাগীয় পরিচালককে জানিয়ে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন। জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
হাসপাতালগুলোর আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন সবকিছুর তদারকি করবেন এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
ছুটি শুরুর আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয়তে সবসময় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রাখতে হবে এবং ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম চিঠি দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের ছুটির সময় সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাটের নিকটবর্তী যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেখানে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে বলেছে।