চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে বুধ নাকি বৃহস্পতিবার ঈদ। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহে। এরইমধ্যে প্রায় প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ। এখন চলছে প্রবেশ গেটে নান্দনিক তোরণ নির্মাণ ও শেষ সময়ের সাজসজ্জার কাজ।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। এখন চলছে প্যান্ডেলের ভিতরে লাইট, ফ্যান ও মাঠের সীমানা ঘেঁষে সাদা কাপড় টানানোর কাজ। চাঁদ দেখার পর করা হবে মেঝেতে কার্পেটিংয়ের কাজ। এছাড়া বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনসহ মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারে সে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
এবারও ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের জন্য কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু নিচে কার্পেটিং আর সাদা চাদর বিছানোর কাজ বাকি আছে। চাঁদ দেখা মাত্রই বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে।”
৯ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস ঈদগাহ সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়। তিনি বলেন, “ওই দিন মেয়র মহোদয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করে কোনও কাজ অসম্পূর্ণ থাকলে পরামর্শ দেবেন। সে অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জাতীয় ঈদগাহের এই ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, দুই সিটির মেয়র, দেশি বিদেশি কুটনৈতিক ব্যক্তিসহ উর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে থাকেন। ঈদগাহে পুরুষের পাশাপাশি থাকছে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী অজুখানা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইমামের পেছনে ভিইপিদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পুরো প্যান্ডেলজুড়ে মাইক, বিদ্যুৎ সংযোগ, ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ঈদগাহ জুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি। প্রস্তুত করা হয়েছে সিসিটিভি ও কন্ট্রোল রুম।
২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন ৩৫ হাজার মুসল্লি। এছাড়া ঈদগাহের বাইরে পুরো জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে উত্তর দিকে মৎস্য ভবন, দক্ষিণে শিক্ষা ভবনসহ পুরো এলাকাজুড়ে মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং নারীদের জন্য আলাদা একটি গেট রাখা হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া বৈরী থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। বাকি জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে এক ঘণ্টা পরপর।