ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।
১৭ জুন ঈদের দিন ধরে রবিবার বিক্রি করা হয় ১২ জুনের টিকেট। এদিন সকাল আটটায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হয় টিকেট।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, টিকেট বিক্রি শুরুর পর প্রথম আধা ঘণ্টায় রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রায় ৬০ লাখ ‘হিট’ (টিকেট কাটার চেষ্টা) হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয় ১০ হাজার ৭২৫টি টিকেট।
রবিবার ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর জন্য মোট ২৯ হাজার ৯৬৮টি টিকেট বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। প্রথম দিনে বেলা ১টা পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৫৬০টি টিকেট বিক্রি করা হয়।
গতবারের মতো এবারও ঈদের অগ্রিম টিকেটের শতভাগই বিক্রি হবে অনলাইনে। যাত্রীদের আসন সংগ্রহের ভোগান্তি দূর করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
রবিবার সকাল আটটা থেকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা) ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়। বেলা দুইটা থেকে শুরু হয় পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) অগ্রিম টিকেট বিক্রি।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্ত:নগর ট্রেনগুলোয় সাধারণ শ্রেণির আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন (স্ট্যান্ডিং) টিকেট বিক্রি করা হবে। তবে এসব টিকেট অগ্রিম নয়, যাত্রার আগে আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে।
রেল বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার বিক্রি করা হবে ১৩ জুনের টিকেট। ৪ জুন ১৪ জুনের, ৫ জুন ১৫ জুনের, ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকেট।
ঈদযাত্রার ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন। ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে।
ঈদযাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এসব বিশেষ ট্রেনের টিকেট যাত্রার আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ও গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলে আর ১২ জুন পূর্বাঞ্চলে ‘ক্যাটল ট্রেন’ পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।