ঈদুল ফিতর ঘিরে এবার ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে দেড় কোটির বেশি মানুষ বাড়ি যাবে বা বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এই সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে এবং রাজধানী ছাড়তেই যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে প্রায় ৯৮৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাম্প্রতিক এক পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনটির মতে, সারাদেশের হিসাব করলে ঈদযাত্রা ঘিরে খরচের অংকটি তিন থেকে চারগুণ বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, এবারের ঈদের ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে ১ লাখ, প্রাইভেটকার-জিপ-মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ ও মোটরসাইকেলে ১২ লাখ মানুষ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে।
এছাড়া বাস-ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাতায়াত করবে আরও ১৮ লাখ যাত্রী।
এই যাতায়াতে যাত্রীদের ৯৮৪ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
তাদের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে নিজ গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের নৌপথে খরচ হবে ১২০ কোটি টাকা; রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া হিসেবে ১৪০ কোটি টাকা এবং ইজিবাইক, মোটর রিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশার ভাড়া হিসেবে ২৮০ কোটি টাকা গুনতে হবে যাত্রীদের।
এছাড়া রাজধানীতে চলাচলকারী হিউম্যান হলারের যাত্রীদের ১৬ কোটি টাকা, রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে ২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা থেকে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা, ঢাকা থেকে দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা, আকাশপথে ৩৫ কোটি টাকা ও খেয়া পারাপারে ১৪০ কোটি টাকা খরচ হবে।
এর পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী সিটি সার্ভিস বাসগুলোয় বকশিস আদায় করবে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ট্রেনের যাত্রীদের ঘুষ হিসেবে দিতে হবে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।