Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাবতলীতে ঈদযাত্রায় বৃষ্টির বাধা

SS-Gabtoli-13-6-24
Picture of জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

সরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মতিঝিলের অফিস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে নেমে পড়েন পথে। মেট্রোরেলে চড়ে নামেন আগারগাঁও স্টেশনে। সেখানে থেকে বাসে করে সোজা গাবতলী।

ঘড়িতে সময় তখন বিকাল সোয়া ৫টা। হাবিবুর রহমানের ইচ্ছে ছিল সাড়ে ৫টার খুলনার পাইকগাছার বাসে উঠবেন। কিন্তু টার্মিনালের গেটে এসে বাধ্য হলেন অপেক্ষা করতে। কালবৈশাখীর কবলে পড়ে চলে গেল আধঘণ্টার মতো সময়। বাধ্য হয়ে পরবর্তী রাত পৌনে ৮টার বাসের টিকিট কাটলেন হাবিবুর রহমান।  

সড়কপথে ঈদ যাত্রার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিকালে হাবিবুর রহমানের মতো বহু ঘরমুখী মানুষের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কালবৈশাখী। টানা ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়োবাতাসে অনেক যাত্রী সময়মতো গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে আসতে পারেনি। আবার যাত্রী না পেয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী বাসগুলোও ঢাকা ছাড়তে পারেনি।

বৃষ্টির কারণে টার্মিনালের সামনের সড়কে তখন সারি সারি দাঁড়ানো গাড়ি। তাছাড়া পাশের গাবতলী হাটে একের পর এক এসে ভিড়ছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকও। ফলে গাবতলীতে যানবাহন ও ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে।

আবহওয়া এমন বৈরী থাকলে এই চাপ দুর্ভোগে পরিণত হতে পারে বলে জানান হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার মো. মোশাররফ হোসেন।

মোশাররফ হোসেনের ধারণা, শুক্রবার গাবতলীতে ঘরমুখী মানুষের পাশাপাশি কোরবানির পশুর জন্য ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে।

যদিও গাবতলী টার্মিনালে আগের মতো ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় হয় না বলে মনে করেন গাবতলী বাস মালিক সমিতির ফিল্ড সুপারভাইজার মো. বাবুল। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “৩০ বছর ধইরা গাবতলীতে আছি। আগের কী ভিড় ছিল! অহন আর তেমন নাই। পদ্মা সেতু হইছে। বাসও সময়মতো ছাড়ে। গাবতলীর প্যাসেঞ্জার সায়েদাবাদ, গুলিস্তান দিয়ে বাসে উঠে গ্রামের বাড়ি যায়। মানুষ অনলাইনে আগে টিকেটও কাটে। গাবতলী আইব কেন?”

মো. বাবুল জানান, গাবতলীতে হানিফ, সোহাগ পরিবহনের মতো বাসের আগাম টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ছোট ছোট পরিবহনের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে। টিকেটের কোনো সমস্যা নেই।

টিকেটের সমস্যা বা সংকট না থাকলেও দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেক যাত্রীর। সাতক্ষীরার যাত্রী জিয়াউর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যমুনা লাইন নামে একটি বাসে টিকেট ১১০০ টাকা রাখা হয়েছে। যেখানে টিকেটে লেখা ১০০০ টাকা। ১০০ টাকা বকশিস নিয়েছে। অন্য সময় হলে ৬০০ টাকায় যাওয়া যায়।”

যমুনা লাইনের ম্যানেজার টিপুর দাবি, তারা নির্ধারিত হারেই ভাড়া নিচ্ছেন।

খুলনাগামী সুন্দরবন লাইনের যাত্রী মশিউর রহমান অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে ৫০০ টাকার ভাড়া ১০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত