দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তার মতে, বিএনপির আত্ম উপলব্ধি হয়েছে যে, নির্বাচন বর্জন তাদের (বিএনপির) জন্য আত্মাহুতির শামিল হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বকশীবাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউটে শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন আত্ম উপলব্ধি করছে যে, নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য আত্মাহুতির শামিল হয়েছে।”
নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ায় সমস্ত পৃথিবী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, সেটা এখনও পত্রিকায় আসেনি। এতে তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে, এখন আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে।”
নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকারের কোনও ভোটে অংশ না নেওয়ার কথাও জানিয়েছে দলটি।
অনেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃত করে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃত করে বলার চেষ্টা করে– একটি হুইসেল বাজানোর মাধ্যমেই স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম তারা অস্বীকার করে।”
স্বাধীনতা বহু শহীদের রক্তের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা কারও হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে আসে না। বহু সংগ্রাম, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। মতিউর রহমানের আত্নদান স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছিল, বেগবান করেছিল।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান মাহমুদ বলেন, “স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীকবিহীন ভোট করার বিষয়টি বহু আগে থেকে আলোচনায় ছিল। এটি হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হয়নি।”
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা যখন সরকার গঠন করি, তারপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয়, সেখানে (দলীয়) প্রতীক ছিল না। ইতোপূর্বে আরও বহুবার উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, তখন তো কোনও (দলীয়) প্রতীক ছিল না। তখন এই কথাগুলো আসেনি।”
দলীয় প্রতীক দেওয়ার বিধান পরবর্তী সময়ে চালু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অতীতে বরাবরই (দলীয়) প্রতীকবিহীন হয়েছে। আগের পদ্ধতির কথাই বলেছি। এখানে সবাই উন্মুক্ত থাকবে। যে যার মতন নির্বাচন করবে।”