আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক নিয়ে কোন দল ভোটে এল, কোন দল এল না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও মাথাব্যথা নেই।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, এনিয়ে তাদের কোনও সমস্যা নেই। এই সিদ্ধান্ত দলগুলোর নিজস্ব বিষয়।
সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন্দল যে সংঘাত ঘটিয়েছে, তা এড়াতেই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কাউকে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একদিন আগেই নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীরের কাছে।
দলীয় প্রতীকে ভোট সহজ নাকি প্রতীক ছাড়া সহজ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রতীক থাকলেও যে অবস্থা, না থাকলেও একই অবস্থা। কমিশনের আলাদা কোনও দায়-দায়িত্ব নেই। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও সমস্যা নেই।”
স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার বিষয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। আইন সংশোধনের পর উপজেলায়ও নৌকা, ধানের শীষসহ রাজনৈতিক দলের প্রতীকগুলো ব্যালটে যুক্ত হয়।
২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবার তিন উপজেলায় দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদ বাদে বাকি দুটি পদ উন্মুক্ত রাখে।
এবার ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল যদি মনে করে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও মন্তব্য নাই। সমস্যাও নাই। আইন অনুযায়ী, দুইভাবে মনোনয়ন দেওয়ার নিয়ম আছে। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বা স্বতন্ত্র নিয়ে।”
প্রতীক থাকলে কোনও বাড়তি চাপ থাকে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কাজই তো আমাদের আইন অনুযায়ী, আমরা চাপ মনে করব কেন?”
উপজেলায় ভোট মে’র মধ্যেই শেষ করতে চায় ইসি
ঈদের পরপরই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু করে মে মাসের মধ্যেই চার শতাধিক উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসএসসি পরীক্ষা ও রোজার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “উপজেলা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। এরপর রোজা। রোজার মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না। ঈদের পরপরই যাতে নির্বাচন হয় সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব।”
ভোটগ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, “ভোটে ব্যালট ইভিএম দুটোর সমন্বয় থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ইভিএম কী পরিমাণ ব্যবহারযোগ্য সে হিসাব এখনও পাইনি। এটা পেলে হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”
তফসিল রোজার শেষ দিকে এবং ভোট ঈদের পর হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ।