পেনাল্টি শুটআউটে আরেকবার নায়কের ভূমিকায় এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আর্জেন্টাইন গোলকিপারের বীরত্বে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাস্টন ভিলা। অথচ লিলের বিপক্ষে এই ম্যাচে তার লাল কার্ড দেখার কথা! কারণ দুইবার হলুদ কার্ড দেখেছেন এই গোলকিপার। এরপরও টাইব্রেকারে গোলবারের নিচে দাঁড়াতে পেরেছেন উয়েফার-ই নিয়মে।
কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে লিলের মাঠে আতিথ্য নিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। নির্ধারিত সময়ে লিল ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩ সমতায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কোনও দল গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারের প্রয়োজন পড়ে। পেনাল্টি শুটআউটে আরেকবার জাদু দেখান এমিলিয়ানো। লিলের দুটি কিক ঠেকিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-৩ গোলে জিতিয়ে তুলে নেন সেমিফাইনালে।
কিন্তু এই টাইব্রেকারের সময়েই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এমিলিয়ানো। লিলের প্রথম শটই ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। এরপর স্বাগতিক সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে চুপ করার ইশারা করেন। তার এই অঙ্গভঙ্গি দেখে সেসময় রেফারি সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু খানিক পর আবারও একই কাজ করেন এমিলিয়ানো। বিষয়টি রেফারির চোখ এড়ায়নি। ম্যাচে দ্বিতীয়বার কার্ড দেখেন বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার। এর আগে নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধে সময়ক্ষেপণ করায় প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
ম্যাচে দুটো কার্ড দেখলে খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এমিলিয়ানো শুধু মাঠে থাকলেন না, লিলের শেষ শটটি ঠেকিয়ে জয়ের আনন্দে ভাসালেন অ্যাস্টন ভিলাকে। কেন দুই হলুদ কার্ডেও মাঠ ছাড়তে হয়নি এমিলিয়ানোকে? উয়েফার নিয়মেই লাল কার্ড দেখতে হয়নি তাকে।
উয়েফার নিয়ম হলো, পেনাল্টি শুটআউটের সময় আগের ডিসিপ্লিনারি বিষয় আমলে নেওয়া হবে না। অর্থাৎ, ম্যাচের সময় কোনও খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখলে, সেটি বিবেচনা করা হবে না টাইব্রেকারে। ‘ক্লিন’ হয়ে ওই খেলোয়াড় পেনাল্টি শুটআউটে নামবেন। একারণে এমিলিয়ানো প্রথমার্ধে কার্ড দেখলেও সেটি তার নামের পাশ থেকে মুছে গিয়েছিল টাইব্রেকারের সময়। সে হিসেবে পেনাল্টি শুটআউটে তিনি দেখেন প্রথম হলুদ কার্ড।