Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘বিলাসী প্রকল্প’ বললেন উপদেষ্টা  

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। 

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহৎ ১২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থায়র প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের।

‘এ প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না’ উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্র বন্দর, শিল্পকারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার, যাতে তা মানুষের কাজে আসে।”   

উপদেষ্টা বলেন, “মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ দিনের কয়লা মজুদ আছে। খুব শিগগিরই এ সংকটের সমাধান হবে।”   

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে শুক্রবার সকাল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান। পরে তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসটিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত